বাগেরহাটের  শরণখোলায় ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়ীবাঁধে গর্তের সৃষ্টি

Uncategorized খুলনা জাতীয় সারাদেশ

 

নইন আবু নাঈম শরণখোলা(বাগেরহাট)ঃ মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে কয়েক দিনের টানা বর্ষনে বাগেরহাটের শরণখোলায় ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়ীবাঁধে সাউথখালী ইউনিয়নে গাবতলা গ্রামে আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় বাঁধে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন ওই বাঁধ নির্মাণের সময় মাটির পরিবর্তে বালু ব্যবহার করায় এ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বাঁধের অস্তিত্ব নিয়ে সংসয় দেখা দিয়েছে।


বিজ্ঞাপন

ওই এলাকা ঘুরে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে কয়েক বছর আগে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে উপক‚লীয় অঞ্চল বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যায়ে ৬৭ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করা হয়।

কিন্তু অধ্যবদি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ বেড়ীবাঁধ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারেনি। নদী শাসন ব্যবস্থা না থাকায় সাউথখালী ইউনিয়নের বগি, গাবতলা ও উত্তর সাউথখালী এলাকায় নদী ভাঙ্গন অব্যহত রয়েছে। আর এতে ওই এলাকাবাসী ধারনা করছে বেড়ীবাঁধ এক সময় নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে।

ইতোমধ্যে বগি ও গাবতলার আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় কয়েকবারের ভাঙ্গনে নদী বেড়ীবাঁধের কাছাকাছি এসে পড়েছে। ১০ আগষ্ট সকালে গাবতলা গ্রামের আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন এলাকার বাঁধে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে দেখা যায়।

দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হাওলাদার বলেন, যে সময় বাঁধের নির্মাণ কাজ করা হয়েছে সেই সময় ঠিকাদার মাটির পরিবর্তে বালু ব্যবহার করায় কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরো স্থায়ী হলে ওই স্থানের বাঁধে বড় ধরনের ভাঙ্গন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি ঝড়-জলোচ্ছাস হলে ওই এলাকার বাঁধ হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই বিষয়টি বেড়ীবাঁধ কর্তৃপক্ষকে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাগেরহাট জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছেন, এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। অন্য দিকে ওই এলাকায় নদী শাসনের কাজ দ্রæত শুরু করবেন বলে আস্বস্থ করেন।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম শামীম বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না, তবে খোঁজ খবর নিবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধতন কর্তপক্ষকে অবহিত করবেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *