নিজস্ব প্রতিনিধি : এবার রাজশাহীর পুঠিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করায় স্থানীয় এক সাংবাদিককে পা কেটে নেয়ার হুমকি দিয়েছে, স্থানীয় ‘7 স্টার’ গ্রুপের প্রধান সাব্বির সহ রুবেল নামের দুই ব্যক্তি। গতকাল শুক্রবার ১১ আগস্ট, দুপুরের দিকে পুঠিয়া উপজেলার পূর্ব কাঠালবাড়িয়া নামক স্থানে দিনে দুপুরে এক ব্যক্তিকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
ওই ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করায় স্থানীয় ‘আমাদের সময়’ পত্রিকার আবু আসাদ নামের এক সাংবাদিক ও তার পিতার পা কেটে নেয়ার হুমকি দিয়েছে ‘7স্টার’ গ্রুপের প্রধান সাব্বির হোসেন ও রুবেল নামের আরো একজন ব্যক্তি। এতে করে ওই ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে পুঠিয়া থানায় একটি জিডি দায়ের করেছেন সাংবাদিক আবু আসাদ। ওই ঘটনার পর পুঠিয়া থানার চোখ খোস অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে মামলার প্রধান আসামি সাব্বিরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এদিকে সাংবাদিক ও তার পিতার পা কেটে নেয়ার হুমকির তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলার সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংবাদিক বৃন্দগণ।পাশাপাশি ধন্যবাদ জানিয়েছেন থানার ওসি ফারুক হোসেন ও অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যদের।
এদিকে ওই ঘটনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস) এর পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে, দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় এনে, বিচারের জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, আমার এলাকার মধ্যে কোনো অপরাধী অপরাধ করে ছাড় পাবে না। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য যে, পুঠিয়া পৌর ছাত্রলীগের (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) মোস্তাক হোসেন (২৪) কে রামদা দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ী ও চলন্ত ট্রাক থেকে বস্তা কাটা, (সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান) সাব্বির হোসেনের (২৬) বিরুদ্ধে। সাব্বির পূর্ব-কাঠালবাড়িয়া গ্রামের সেনা সদস্য মো বাবলু আলীর ছেলে। আহত মোস্তাক পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
গতকাল শুক্রবার ১১ আগস্ট, দুপুরের দিকে পুঠিয়ার পূর্ব কাঁঠালবাড়িয়ায় ওই ঘটনা ঘটে। মোস্তাক পুঠিয়া পৌর সদরের কাঁঠালবাড়ি (ঢাকাপাড়ার) মো: হাকিম আলীর ছেলে। মোস্তাক জানান, কিছু দিন আগে তার বন্ধু মিজানের মোবাইল জোরপূর্বক কেড়ে নেয় মাদক ব্যবসায়ী ও সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান সাব্বির হোসেন।খবর পেয়ে সাব্বিরের কাছে শুক্রবার দুপুরে মোবাইলটা আনতে যায় খাইরুল -রবিন সহ ৪-৫ জন। সাব্বিরের কাছে মোবাইল চাইতে গেলে সাব্বির, কাজল ও বাবু দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে ঘর থেকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে বের হয়। পরে রামদা হাতে সাব্বির বের হয়ে কোপ বসিয়ে দেয় । তখন আহত অবস্থায় তার বন্ধুরা তাকে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।