নইন আবু নাঈম , শরণখোলা, বাগেরহাট : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন খালে অবৈধভাবে,চায়নাদুয়ারী ও বেহুন্ধী জালসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট ফাসের জাল ফেলে ছোট মাছ ধ্বংস করা হয় এমন তথ্যের ভিত্তিতে সাউথখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন খালে অভিযান চালায় নৌ পুলিশের ধানসাগর অফিসের একটি টিম।
শনিবার ১২ ই আগস্ট রাতে ইন্সপেক্টর মন্নাফ হোসেন এবং শরণখোলা উপজেলা মেরিন ও ফিশারিজ অফিসার জনাব রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ইমরান হোসেন রাজিব ও সাউথখালী ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে তাফালবাড়ী খালের তুলাতলা ও উত্তর তাফালবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ছোট মাছ ধরার জাল উদ্ধার করে। সন্ধ্যা ৭ টায় অভিযানটি শুরু করে রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে এ অভিযানটি।
মৎস্য সংরক্ষণ অভিযান শেষে উদ্ধার হওয়া জাল শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব জাহিদুল ইসলাম শামিম এর নির্দেশে তাফালবাড়ী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিব ও ইউপি সদস্য জামাল জমাদ্দার এর উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, নৌ পুলিশের এরকম মৎস্য সংরক্ষণ অভিযান অব্যাহত থাকলে মৎস্য সম্পদ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে।
অভিযান পরিচালনাকারী ইন্সপেক্টর মন্নাফ হোসেন বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাউথখালী ইউনিয়নের খালগুলোতে অভিযান চালাই এবং বেশ কিছু ছোট মাছ ধরার অবৈধ জাল উদ্ধার করি। পরবর্তীতে জালগুলো সকলের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
শরণখোলা উপজেলা মেরিন ও ফিশারিজ অফিসার জনাব রবিউল ইসলাম বলেন, এই ধরনের ছোট ফাঁসের জাল ফেলার কারণে ছোট মাছগুলো বড় মাছে পরিণত হওয়ার আগেই ধরা পড়ে এবং এতে ভবিষ্যতে মৎস্য সম্পদ হুমকির মুখে পড়বে। জেলেরা যাতে এ ধরনের ছোট ফাঁসের জাল আর না ফেলতে পারে সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।
এ বিষয়ে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব জাহিদুল ইসলাম শামিম বলেন,শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন খালে অবৈধ ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে ছোট ছোট মাছগুলোকে নিধন করা হচ্ছে। আমাদের মৎস্য সংরক্ষণ অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।