নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকান্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ৪,৩০,০০০ ( চার লক্ষ ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার ২৭ আগস্ট, রাতে বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যায় যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ আলুগোলা মাঝেরকাঠি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর হতে একটি বিশেষ আভিযানিকদল এবং নাজিরপাড়া বিওপি হতে আরেকটি টহলদল উল্লেখিত এলাকায় গিয়ে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়ীবাঁধ এবং কেওড়া বাগানের আড়ি পেতে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।
এরপর আনুমানিক রাত ১ টা ৩০ মিনিটের সময় বিজিবি টহলদল ৬ জন ব্যক্তিকে ৪টি প্লাস্টিকের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে সীমান্তের শূন্যলাইন হতে আলুগোলা মাঝেরকাঠি এলাকায় আলী আহমেদের মাছের প্রজেক্টের দিকে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই উক্ত ব্যক্তিরা তাদের কাঁধে থাকা ব্যাগগুলো ফেলে দ্রুত দৌড়ে নাফ নদীতে লাফিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল উল্লেখিত স্থানে তল্লাশি চালিয়ে তাদের ফেলে যাওয়া ৪টি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে। পরে উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভেতর থেকে ৪,৩০,০০০ (চার লক্ষ ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করা হয়।
অত্র প্রতিবেদন লেখা অবধি মাদক পাচারকারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে বিজিবি’র সুত্রে জানা গেছে।