তালিবানের বিরুদ্ধে ২০০ সাবেক আফগান কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যার অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ

Uncategorized আইন ও আদালত আন্তর্জাতিক বিশেষ প্রতিবেদন

 

কুটনৈতিক বিশ্লেষক : জাতিসংঘ জানিয়েছে, দুই বছর আগে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে আফগানিস্তানে কমপক্ষে ২১৮টি “বিচারবহির্ভূত’ হত্যাকাণ্ড এবং শত শত ‘গুরুতর” মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

নিহতদের বেশিরভাগই কাবুলে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সাবেক সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি, যাদের মধ্যে ছিলেন সামরিক, গোয়েন্দা ও পুলিশ সদস্য।

আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ) তাদের নতুন প্রতিবেদনে বলেছে, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, তাদের হত্যা করার স্বল্প সময় আগে তাদের কার্যত (তালিবান) নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা আটক করা হয়েছিল।“

ইউএনএএমএ বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং জোরপূর্বক গুমের ৮০০ টি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। প্রাক্তন আফগান কর্মকর্তাদের জন্য তালিবানকর্তৃক বহুল প্রচারিত “সাধারণ ক্ষমা” সত্ত্বেও এগুলি ঘটেছে বলে তারা জানায়।

আফগান যুদ্ধে প্রায় ২০ বছর থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নেটো সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন বিদ্রোহী তালিবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ইউএনএএমএ-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিবান সংঘাত-বিধ্বস্ত দেশটিকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চার মাসের মধ্যেই বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবতুল্লাহ আখুন্দজাদা ক্ষমতা দখলের পরপরই প্রতিশোধের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক সরকারি সদস্য সহ সকল সাবেক সরকারী সদস্যের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন।

কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সাধারণ ক্ষমা প্রবর্তন একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ হিসেবে নেয়া হলেও, ইউএনএএমএ বলছে, চলমান মানবাধিকার লংঘনে বোঝা যায় যে সাধারণ ক্ষমা পুরোপুরি বহাল রাখা হয়নি।

তালিবান নেতৃত্বাধীন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বরাত দিয়ে ইউএনএএমএ জানিয়েছে, আখুন্দজাদার আদেশ অমান্য করার কোনো খবর তারা পায়নি। তারা ডিক্রি অমান্য করার জন্য দোষীদের তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছে।

সাবেক আফগান সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে তালিবান বাহিনী কোনো সামরিক কর্মকর্তাকে আটক বা নির্যাতন করেছে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মন্ত্রক। তবে ইসলামিক আমিরাত নামে পরিচিত তালিবান সরকারকে যারা চ্যালেঞ্জ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেছে তারা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ইউএনএএমএ’র প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এক বিবৃতিতে, একে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা বলে উল্লেখ করে তালিবানকে এ ধরনের লঙ্ঘন রোধ করতে এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করার আহ্বান জানান। (তথ্য সূত্র ও ছবি) : আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ)


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *