নিজস্ব প্রতিবেদক (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অধিকতর প্রচারের লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ, কক্সবাজার ও ট্যুর অপারেটরদের অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার ২১ অক্টোবর, সন্ধ্যা ৭ টায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কক্সবাজার জেলা কার্যালয় কর্তৃক কক্সবাজারের ইনানীতে অবস্থিত হোটেল সী-পার্ল রিসোর্টে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অধিকতর প্রচারের লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ, কক্সবাজার ও ট্যুর অপারেটরদের অংশগ্রহণে একটি সচেতনতামূলক সভা আয়োজন করা হয়।
উল্লেখিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। উক্ত সভার সঞ্চালনায় ছিলেন অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: আনিছুর রহমান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এবং হোটেস সী-পার্ল এর এজিএম নাভিদ আহসান চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভার প্রধান অতিথি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যের শুরুতে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এবং অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক ধারনা প্রদান করেন।
মহাপরিচালক বর্তমান সমাজে বিদ্যমান ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কাজের স্বরূপ তুলে ধরে তা প্রতিরোধে অধিদপ্তরের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে সকলকে অবগত করেন। মহাপরিচালক বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি কিন্তু এই ক্ষেত্রে সফল হতে হলে প্রয়োজন ভোক্তাদের সচেতনতা। এই সচেতনতার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে এই সচেতনতামূলক সভা।
তিনি বলেন, ভ্রমণ পিয়াসী পর্যটকদের জন্য কক্সবাজার অন্যতম প্রধান পছন্দের জায়গা। এই পযটন স্পট আমাদের দেশের পর্যটন শিল্পের বড় একটি সম্পদ। প্রতিনিয়ত অসংখ্য পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার সী-বিচে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বীচ ফটোগ্রাফার ও বীচ বাইক রাইডার কর্তৃক দর্শনার্থীদের হয়রানির শিকার হন। এছাড়াও এ সময় রেস্তোরাঁগুলোতে অন্য সময়ের তুলনায় খাবারের মূল্য বেশি রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়। এসকল ভোক্তা অধিকার বিরোধী কাজের পাশাপাশি হোটেলগুলোতে এ সময় নির্ধারিত ভাড়া অপেক্ষা অতিরিক্ত ভাড়া রাখলে অধিদপ্তরে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করার অনুরোধ জানান। এ ক্ষেত্রে অধিদপ্তরের অভিযোগ দায়ের করলে অধিদপ্তর ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মহাপরিচালক পরিশেষে অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত সহযোগিতায় ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করে সভায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।