নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৩) বিকেলে পুরান ঢাকার ওয়ারীর সানাই কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রভিত্তিক কমিটির গঠন নিয়ে এই সভার আয়োজন করে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে একটা ভোট যুদ্ধ। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছোট থাকুক-বড় থাকুক আমরা সেটাকে গুরুত্বের সাথে নিবো। আমাদের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ছোট করে দেখবো না। আমরা প্রতিটি পাড়া-মহল্লার মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবো। জনগণের কাছে আমরা ভোট প্রার্থনা করবো।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জনগনের কাছে খালি হাতে যাচ্ছি না, আমাদের অর্জন আছে। আমাদের নেত্রী জনগণের জন্য অনেক কিছু করেছে। সেই অর্জনগুলো নিয়ে আমরা যাবো।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র থাকা অবস্থায় নগরে যেসব উন্নয়ন কাজ করছেন, সেগুলো উল্লেখ করে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আপনাদের দোয়ায় এবং ভালোবাসায় আমি যখন মেয়র ছিলাম অনেক কাজ করেছি, মেয়রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অনেক কাজ করেছি। এসব অর্জন নিয়ে আমরা ভোটারদের কাছে যাবো এবং বিনীতভাবে ভোট চাইবো। যাতে জনগণ আমাদেরকে আবার কাজ করার সুযোগ করে দেয়।’
ঢাকা-৬ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘নির্বাচনী কাজে শৃঙ্খলা বড় একটা বিষয়। নির্বাচনী কাজে কৌশলও বড় একটা বিষয়। আমরা একসাথে ভোট যুদ্ধে জয়লাভ করার মধ্য দিয়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো। তাঁকে আগামী দিনে দেশ পরিচালনার জন্য আরেকবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাই, ইনশাআল্লাহ।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের স্মৃতিচারণ করে তাঁর ছেলে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমাদের পরিবার এই এলাকার মানুষের কাছে প্রায় শত বছরের একটি বিশ্বস্ত পরিবার। আমার মরহুম নানা ঢাকার পৌর করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমার প্রয়াত পিতা মোহাম্দ হানিফ অবিভক্ত ঢাকার প্রথম মেয়র হিসেবে দীর্ঘ নয় বছর জনগণের সেবা করেছেন। আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। প্রায় ৮০ বছরের মতো আমার পরিবারের সাথে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সম্পর্ক। অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই এলাকার মানুষের সাথে আছি। আমরা নতুন কোনো মানুষ না, নতুন কোনো মুখ না।’