নিজস্ব প্রতিবেদক : নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক পদে যোগদান করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত নম্বর-৬ এর বিশেষ জজ (জেলা জজ) মোহাম্মদ শহীদুল আলম ঝিনুক। তিনি রোববার বিকেলে মহাপরিদর্শক পদে যোগদান করেন।
বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন আইন ও বিচার বিভাগ থেকে শহীদুল আলম ঝিনুকের বর্তমান পদ হতে বদলি করে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত নিবন্ধন অধিদপ্তর, ঢাকা এর মহাপরিদর্শক পদে প্রেষণে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
শহীদুল আলম ঝিনুকের জীবন-বৃত্তান্ত
শহীদুল আলম ঝিনুক দশম বি.সি.এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯১ সালে বিচার ক্যাডারে যোগদান করেন এবং কুমিল্লা, ঢাকা ও ফেনীতে সিনিয়র সহকারী জজ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৩ সালে যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন এবং কুমিল্লা জজ কোর্টে কর্মরত থাকাকালীন ২০০৭ সালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে গাজীপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট পদে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালে আইন ও বিচার বিভাগে উপ-সচিব পদে দায়িত্ব পালন করাকালে ২০১৫ সালে জেলা জজ পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন এবং ঢাকায় স্পেশাল জজ হিসাবে দায়িত্ব পালন করাকালে ২০১৫ সালের মে মাসে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (যুদ্ধ অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) এর রেজিষ্ট্রার পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে অত্যন্ত বিশ্বস্থতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর তিনি সুনামগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে জেলা ও দায়রা জজ পদে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উচ্চতর প্রশিক্ষনের জন্য নিউইয়ার্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, বেলজিয়াম ও দিল্লী গমন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি মেধার স্বাক্ষর রাখেন, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল হতে ১৯৭৬ সালে জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন, ১৯৭৯ সালে কুমিল্লা বোর্ড হতে কৃতিত্বের সাথে এসএসসিতে মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করে প্রথম বিভাগে এবং ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম কলেজ হতে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএলবি সম্মানসহ এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি বরাবরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে শক্তির সাথে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত ছিলেন এবং জাতির পিতার আদর্শের প্রতি বিশ্বস্থ থেকে জাতির পিতার আদর্শের ধারক ছাত্র সংগঠনের চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল শাখার সভাপতি, একই সংগঠনের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্র/ছাত্রীদের সরাসরি ভোটে সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর এরশাদের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি অংশ গ্রহন করেন এবং ১৯৮৫-৮৬ সালে জাতির পিতার আদর্শের ছাত্র সংগঠনের এস.এম হল শাখার আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন এবং ১৯৯০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। পড়ালেখা ছাড়াও সহ শিক্ষা কার্যক্রমে তিনি সব সময় জড়িত ছিলেন। ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম জেলা সমবায় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত উপস্থিত বক্তৃতায় চ্যাম্পিয়ান হন এবং ১৯৭৮ সালে শিশু একাডেমী আয়োজিত মৌসুমী প্রতিযোগিতায় বিতর্কে চট্টগ্রামের চ্যাম্পিয়ান হয়ে জাতীয় ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। তিনি সমাজ সেবাসহ তার নিজ এলাকার শিক্ষা উন্নয়নে সক্রিয় রয়েছেন।