নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা জোড়দার করে যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং দেশে আদিকাল থেকে বিদ্যমান ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব যথাযথভাবে উদযাপন করতে র্যাব সাধারণ মানুষের পাশে সদা জাগ্রত থেকেছে।

গরুর হাটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা : আজ শনিবার ৭ জুন মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ-উল আযহা অনুষ্ঠিত হয়েছে । এ উপলক্ষে র্যাব-৪ তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় দেশের সর্ববৃহৎ পশুর হাট গাবতলী পশুর হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনসহ মিরপুর বেনারসী পল্লী গরুর হাট এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট গরুর হাটে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৫০টি হাটে আভিযানিক দল নিয়োগ, গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদার করায় জনসাধারণ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির স্বীকার ছাড়াই নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পেরেছে ।

মহাসড়কে কোরবানীর পশু পরিবহনে যেকোন ধরনের চাঁদাবাজি বা এক হাটের পশু অন্য হাটে জোর করে নেয়া বা বাধা দেয়াসহ যেকোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে বা এ ধরনের কোন অভিযোগ করায় অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ।

ঈদযাত্রা পদক্ষেপ: ঘরমুখো মানুষ যেন নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে তাদের বাড়িতে যেতে পারে সেজন্য র্যাব-৪ এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। ঘরমুখো মানুষ যেন কোন ছিনতাই, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে না পড়ে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিশেষ করে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, বাইপাইল এলাকায় এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় নিয়মিত টহল মোতায়েন ছিল নজরে পড়ার মতো । বাসের টিকেট সিন্ডিকেট, কালোবাজারী কিংবা বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রভৃতি অপরাধ প্রতিরোধে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

বিপনী বিতানে নিরাপত্তা : আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীসহ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত শপিং কমপ্লেক্স গুলাতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত চেকপোষ্ট পরিচালনা ও সার্বক্ষণিক টহল করা হচ্ছে।
অপরাধ প্রতিরোধঃ পশু ক্রয় বিক্রয়কারী কর্তৃক জাল টাকা আদান-প্রদান বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ জাল টাকা সনাক্তকারী মেশিন স্থাপন করে যাতে কোন অসাধু চক্র অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটাতে না পারে। অজ্ঞান পার্টি এবং মলম পার্টি ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধী চক্রকে প্রতিহত করতে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। র্যাব-৪ কর্তৃক গত ১ মে, থেকে ৩১ মে, পর্যন্ত ছিনতাইকারী ও দুষ্কৃতিকারী ১৭ জনকে গ্রেফতার করে।
আগাম ব্যবস্থাপনা : ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা, যেকোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নকারী তথ্য ও গুজব প্রতিরোধ করতে র্যাব-৪ প্রস্তুত ছিলো ।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপন ও পরিবার পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন।
এ সময়ে তথা ঈদ পরবর্তী র্যাব-৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা ও যে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অপরাধ প্রতিরোধেও বিশেষ টহল ব্যাবস্থা অব্যাহত আছে।