নিজস্ব প্রতিবেদক : “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিলগ্ন থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, প্রতারক ও অজ্ঞান পার্টি চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ এবং সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব ইতোমধ্যে জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত ৩ জুন মধ্যরাতে রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে অজ্ঞানের কাজে ব্যবহৃত চেতনাশক ঔষধ ও অন্যান্য দ্রব্যাদি উদ্ধারসহ অজ্ঞান পার্টি চক্রের ৩ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যাবসায়ীরা যথাক্রমে, মোঃ বাদল শেখ (৪২), জেলা-মানিকগঞ্জ। মোঃ রেজাউল করিম খসরু (৩৪), জেলা-নাটোর। এবং মোঃ শরীফুল ইসলাম (৪৬), গাইবান্ধা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা অজ্ঞান পার্টি চক্রের সক্রিয় সদস্য মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে চক্রের অন্যান্য সদস্যদের যোগসাজশে যাত্রীর ছদ্মবেশে দূর পাল্লার বিভিন্ন পরিবহনে উঠে সাধারণ যাত্রীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে কৌশলে চেতনানাশক ঔষধ মিশ্রিত বিস্কুট, কোমল পানীয় পান করিয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক যাত্রী গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে বিধায় তারা সাধারণ যাত্রীদের চেতনানাশক প্রয়োগ করে সর্বস্ব লুট করার উদ্দেশ্যে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান করছিলো।

উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামীদের পিসিপিআর পর্যালোচনায় তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডিএমপির দারুস সালাম থানা, পাকশী রেলওয়ের পোড়াদহ রেলওয়ে থানা, কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ সংঘবদ্ধ অজ্ঞান পার্টি চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।