মো:রফিকুল ইসলাম,(নড়াইল) : ভালবাসা দিবসে সকল শিশু জিবন হয়েয়ে উঠুক আনন্দময়,এই শ্লোগানকে ধারণ করে নড়াইলে বিশ্ব ভালবাসা দিবসে শতাধিক অসহায় ও এতিম শিশুদের নিয়ে অন্যরকম আনন্দ উৎসবে মেতে উঠলেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। একই সাথে মানবিক ও সেবামূলক কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের’ ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা হয়।
গতকাল বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারি, দিনব্যাপী পৌরসভার হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি ডিসি পার্কে অসহায় ও এতিম শিশুদের নিয়ে নানান খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। শিশুদের অংশগ্রহণে দৌড় প্রতিযোগিতা,হাড়িভাঙ্গা খেলা,বিস্কুট দৌড়, চেয়ার সিটিং ও আবৃত্তিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ও পার্কের ট্রেন,নাগরদোলা,চরকা,নৌকাসহ বিভিন্ন রাইডে চড়তে পেরে ভীষণ খুশি এসব শিশুরা। এদিন দুপুর ২টায় স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুর অংশগ্রহণে কেক কাটেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহা. মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট লিংকন বিশ্বাস, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল মাহমুদ তুফান,আওয়ামী-লীগ নেতা হাফিজ খান মিলনসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এসময় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কেক খাইয়ে দেন অতিথিবৃন্দ। সভায় মুঠোফোনে বক্তব্য দেন,নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। মাশরাফীসহ বক্তারা স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘স্বপ্নের খোজে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মানবিক কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে।
জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন,করোনকালীন সময় ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে খাবার বিতরণ,নামমাত্র মুল্যে সবজী বিতরণ,চিকিৎসা সেবা,শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন ধরণের কাজ করে আসছে।
যা ইতিমধ্যে মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বক্তারা এসব কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকাসহ সংগঠনের এ ধরণের কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু,ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মো. ফয়সাল মুস্তারী,সভাপতি মির্জা গালিব সতেজ,সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহ পরাণসহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কেক কাটা শেষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়।