ডেস্ক রিপোর্ট : মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার চূড়ান্ত চুক্তি প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনিরা শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে বিরোধিতা করে আসছে।
মঙ্গলবার ট্রাম্প এই শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এ সময় ট্রাম্পের পাশে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ট্রাম্পের প্রস্তাবে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস এই পরিকল্পনাকে একটি ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। খবর বিবিসি
টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, আমি ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহুকে বলেছি- জেরুজালেম এবং আমাদের সমস্ত অধিকার বিক্রয়ের জন্য নয়। এই ষড়যন্ত্র চুক্তিটি পাস হবে না।
আব্বাস তার ভাষণে আরও বলেন, জেরুজালেম ব্যতীত কোনো প্যালেস্টিনিয়ান, আরব, মুসলিম বা খ্রিস্টানদের পক্ষে এটি গ্রহণ করা অসম্ভব।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিনিময়ে চার বছরের জন্য ইসরায়েল দখলকৃত এলাকার সম্প্রসারণ বন্ধ রাখবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, এই প্রথমবারের মতো ইসরায়েল একটি ধারণামূলক মানচিত্র প্রকাশ করতে রাজি হয়েছে। শান্তি স্থাপনের জন্য নিজেদের ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে সম্মতও হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েল অনেক করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে একটি যৌথ কমিটি গঠন করব ধারণামূলক মানচিত্রের আরও বিস্তারিত ও নির্দিষ্ট করতে। যাতে করে দ্রুতই স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব হয়। ওই মানচিত্রে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দ্বিগুণ হবে এবং পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনের রাজধানী থাকবে এবং যুক্তরাষ্ট্র গর্বের সঙ্গে সেখানে দূতাবাস চালু করবে।
একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে ফিলিস্তিনের যে দীর্ঘদিনের লড়াই, সে পথে এই পরিকল্পনা বেশ বড়সড় বাধা হয়েই সামনে এসেছে।