নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক সাফল্যের পরও কিছু ব্যর্থতার জন্য দায়ী দলে ভীড় করা নব্য আওয়ামী নেতাদের জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ড। দেশের উন্নয়নের রূপকার জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব পরগাছা উপড়ে ফেলার চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও হাইব্রিড কাউয়াদের আধিপত্য থামছেনা। এখনো কিছু হাইব্রিড নেতারা কারসাজীর মাধ্যমে বড় বড় পদ হাতিয়ে নিচ্ছেন। অথচ নব্য নেতারা বিএনপি না জামাতপন্থী তা যাচাই করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে কিছু প্রভাবশালী আঞ্চলিক নেতাদের কারণে। বর্তমানে তালিকাভূক্ত দূর্নীতিবাজ, ব্যাংক লুটকারী ও টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে আওয়ামী সরকারের সাঁড়াশী অভিযানকে দেশবাসী স্বাগত জানিয়েছেন। তারপরও দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা হাইব্রিট নেতাদের কারসাজী অব্যাহত থাকায় অনেক ত্যাগী নেতারা পদ বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা ক্ষোপের সাথে বলেছেন, এসব হাইব্রিট ও নব্য আওয়ামীদের দল থেকে বিতাড়িত না করলে দলের আরো বদনাম হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী দলের স্বার্থে আরো সাহসীকতার সাথে সাঁড়াশী অভিযান অব্যাহত রাখলে ত্যাগী নেতারা পদ পাবেন এবং হাইব্রিট নেতারা বিতাড়িত হবেন। মুলত বিএনপি-জামাতপন্থী কিছু হাইব্রিড নেতাদের কারনেই আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন্য হচ্ছে। দলের আগামী ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এসব কাউয়াদের বিতাড়িত করা উচিত।
প্রাপ্ত অভিযোগের তথ্যমতে, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০১৮-এর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. ইবনুল কবির ওরফে মিঠু মুন্সী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার প্রার্থী চুড়ান্ত হয়। জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী তাকে নৌকা প্রতীক উপহার দিয়েছেন বলে দাবী করে পোষ্টার সাটিয়ে প্রচার করতে থাকেন। কিছু দিনের মধ্যে গোপনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে তার পছন্দের প্রার্থী মঞ্জুর আলী শেখকে সমর্থন জানান। কিন্তু তার প্রিয়ভাজন প্রার্থী নির্বাচনে হেরে যায় এবং অপর বিদ্রোহী প্রার্থী মিলানুর রহমান হাওলাদার জয়ী হন। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থনকারী ভোটাররা ক্ষুব্ধ হন। স্থানীয় ভোটারদের তথ্যমতে, মিঠু মুন্সী মোটা অংকের টাকা খেয়ে মঞ্জুর আলী শেখকে নির্বাচন করার সুযোগ দেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত নমিনেশন পেপার তাকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেন, সেখানে রাতারাতি বোল পাল্টে যাকে সমর্থন দিয়েছেন তিনি হেরে যাওয়ায় দলের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অথচ তিনি তার পুরো পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনকে আওয়ামী পন্থী সাজিয়ে পাঁচগাও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটি হাতিয়ে নিয়েছেন। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, যিনি টাকার কাছে নৌকা প্রতীক বিক্রি করতে পারেন, তিনি আবার কি করে দলীয় ভাবে আওয়ামীলীগের পদ পেলেন। এ ব্যাপারে টংগীবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান জগলুল হাওলাদার ভুতু বলেন কিভাবে মিঠু সাধারণ সম্পাদক হয়েছে তা এলাকার সবাই জানে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির আত্মীয় হওয়ার কারণেই এ রকম অপকর্ম করেও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।