নিজস্ব প্রতিনিধি (জয়পুরহাট) : প্রতি বছরের মত এবার ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মেতে উঠেছে জয়পুহাটের গ্রাম শহরের প্রতিটি পরিবার। প্রতিটি পরিবারের লক্ষ উদ্দেশ্য ঈদ কে সমনে রেখে করবেন কেনাকাটা। রমজানের ২২ রোজা শেষ হতে চলেছে, এরি মধ্যে গত ১১ দিন আগে জয়পুরহাট জেলার ধনি গরিব সকল শ্রেণির জনসাধারণ মেতে উঠেছে ঈদ বাজারে কেনাকাটার আমেজে। “এবারে জেলার সদরে ও ৫ টি উপজেলার প্রধান প্রধান বস্ত্রবিতান গুলিতে দেখা যাচ্ছে উচরেপড়া ভিড়” জেলার কালাই উপজেলার মসজিদ মার্কেটে দেখা যায় এবার পুরুষ ক্রেতার চেয়ে নারী ক্রেতার ভিড়।
পরিবারের সদস্য দের ভালো মানের নতুন কাপড় উপহার দেওয়ার জন্য লাইন ধরে কেনা কাটা করছেন বস্ত্রবিতান গুলিতে। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলছে কেনাকাটার মোহড়া। এবারে প্রতিটি দোকানে দেখা যাচ্ছে মহিলারা কয়েক ধাপে সিরিয়াল নিয়ে কেনাকাটা করছেন। মহিলাদের উপস্তিতিতে মার্কেট গুলিতে তিল ধারনের ঠাই নেই। প্রতিটি দোকানে যে পরিমান আসন দেওয়া আছে তার চেয়ে বেশি কেনাকাটার জন্য সিরিয়ালে থাকতে দেখা যায় অনেককেই।
এবারে জেলার মার্কেট গুলিতে অধিক পরিমাণে ভিড় থাকায় দোকানির সঙ্গে দর কশাকশির তেমন সুজুক সুবিধা না থাকার কারনে হাকাও দামে নিতে হচ্ছে পছন্দের কাপড় গুলি।অনেক ক্রেতা দর কশাকশির মধ্যে দিয়ে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে ফলে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে জাচ্ছেন।
কালাই মসজিদ মার্কেটে কিছু ক্রেতার সজ্ঞে কথা বললে তারা বলেন, প্রতিটি থ্রি পিসের দাম ১৯০০ থেকে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত দাম হাকা হচ্ছে, বাচ্চাদের কাপড় ৭০০ থেকে ১৫০০ পর্যন্ত এছাড়া শাড়ি, লেহেঙ্গা, প্লাজু থেকে শুরু করে অন্যান্য সব রকমারী পোশাকের দাম আকাশ ছোঁয়া। ক্রেতারা বলেন, অতিরিক্ত ভিড় থাকায় দোকানির সঙ্গে দর কশাকশি করা যাচ্ছেনা যেমন চাচ্ছে তেমন দাম দিতে হচ্ছে। এদিকে মার্কেটের ব্যবসায়ী দের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন,আমাদের ব্যাবসা বছরে এক বার। তবে সব জিনিসপত্রের দাম বেশি, আমাদের কাপড় গুলি উন্নত মানের সেই সাথে ক্রয় করতেই বেশি দাম গুনতে হয়েছে যার কারনে বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। এর পরেও আমরা চেস্টা করছি ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য।