নীলফামারী প্রতিনিধি : আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নীলফামারীতে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে বিনামূল্যে ভিজিএফ’র চাল বিতরণের সময় ওজনে কম দেওয়ার ভিডিও ছবি ধারণ করতেই সাংবাদিকের উপর চরাও হয়ে মারপিট করেন ইউপি চেয়ারম্যানসহ সন্ত্রাসী বাহিনীরা। সেইসাথে প্রাণে মেরে ফেলা ও সাংবাদিকের রক্ত দিয়ে গোসল করার হুমকীও দেন সদর উপজেলার ৭ নং কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধূরীসহ তার বাহিনী।
গতকাল শনিবার ৬ এপ্রিল, দুপুরে ওই ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে এ ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোঃ নুরুল আমিন (২৭) দৈনিক সমাজ সংবাদ পত্রিকার নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ভিজিএফ’র চাল ওজনে কম দেয়া ও সাংবাদিককে মারপিটের ঘটনায় দোষীদের উপর্যুক্ত শাস্তির দাবীতে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানা যায়, শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ভিজিএফ’র চাল বিতরনের সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় দৈনিক সমাজ সংবাদ পত্রিকার নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি মোঃ নুরুল আমিনসহ আরো তিন জন সাংবাদিক। সেখানে দুস্থদের ভিজিএফ এর চাল কার্ডপ্রতি ওজনে ৫-৭শত গ্রাম কম দেয়ার অভিযোগ আসলে ছবি ধারণ করেন তারা।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধূরী সাংবাদিক নুরুল আমিনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে মারপিট শুরু করেন। এরপর চেয়ারম্যান বাহিনীর সদস্য লেমন (৩৮),করিম মিয়া (৩৫),নুরল চৌধূরী (৫৫),মোস্তাকুল (৪০),রওশন জামিল (২৭),শুভ (৩২),বুলবুল (৪৮)সহ আরো ১০-১২ জন এলাপাথারী ভাবে মার ডাং শুরু করে। ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক নুরুল আমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় পা দিয়ে শ্বাসরোধ করে। বাহিনীর সদস্যরা চেয়ারম্যানের অফিস রুমে নিয়ে পুনরায় মারধোর করে এবং বলে সাংবাদিকের রক্ত দিয়ে গোসল করবে তারা।
পরবর্তীতে ঘটনার খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের প্রাণে রক্ষা করে। ঘটনাস্থলে ওই সাংবাদিকের অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা। সাংবাদিককে মারপিটের ঘটনায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত পূর্বক দোষীদের উপর্যুক্ত শাস্তির দাবী কলম সৈনিক অর্থাৎ সকল সাংবাদিকের।
এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, সাংবাদিক মারধোরের বিষয়টি খুবেই দুঃখজনক। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানতে চাইলে নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।