টেকনাফের পানি নিস্কানোর খাল গুলো ভূমিদস্যুদের  দখলে থাকায় জলাবদ্ধতার দূর্ভোগ চরমে

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত চট্টগ্রাম বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

টেকনাফ প্রতিনিধি  :  কক্সবাজারের টেকনাফে কিছূতেই বন্ধ হচ্ছে না খালের কিনারা দখলকারী ভুমিগ্রাসীদের আগ্রাসন। দখল দারিত্বের কবলে পড়া খাল গুলো সরু হয়ে যাওয়ার কারণে প্রতিবছর বছর বর্ষা মৌসুম এলেই জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে অত্র উপজেলার অন্তর্গত নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি পাড়া ও মহল্লা। এর মধ্যে টেকনাফ পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড অন্যতম।


বিজ্ঞাপন

বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম এলেই উক্ত এলাকা গুলো প্লাবিত হয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হয় ঐ সমস্ত এলাকার বসবাসকারী সাধারণ মানুষ গুলো।গত শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সরে জমিনে গিয়ে সময়ের কন্ঠস্বরের প্রতিবেদক ক্যামেরায় ধরা পড়ে জলাবদ্ধতার কারণে প্লাবিত হওয়া নিম্নাঞ্চলে দূর্ভোগে পড়া সেই চিত্র গুলো।


বিজ্ঞাপন

অনুসন্ধানে দেখা যায়, নাফনদী ঘেঁষা টেকনাফ পৌরসভা আওতাধীন কাইয়ুকখালী খালটি দিনের পর দিন সুরু হয়ে যাচ্ছে। খালের দুই পাশে প্রচুর পরিমাণ ভুমিগ্রাসীদের স্থাপনা । প্রতিনিয়ত জোয়ার-ভাটার পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি পৌর শহরের পানি চলাচলের জন্য তৈরি করা ড্রেন গুলোর মধ্যে জমে আছে নানা প্রকার বর্জ্যের সমাহার। এতে বাঁধা গ্রস্ত হচ্ছে পানি নিষ্কাশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দূর্ভোগে পড়া স্থানীয় বাসিন্দারা সময়ের কন্ঠস্বরকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, অত্র উপজেলার নদী,সাগর ঘেঁষা খাল গুলোর বেশির ভাগ অংশ ভুমিগ্রাসীদের দখলে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপরিকল্পিত এবং সঠিক তদারকি না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাদের দাবি সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি থাকলে স্বল্প সময়ের মধ্যে টেকনাফের নিম্নাঞ্চলের মানুষ গুলো জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আদনান চৌধুরী সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, অত্র উপজেলার অন্তর্গত বিভিন্ন ইউনিয়নে জলাবদ্ধতায় দূর্ভোগে পড়া মানুষ গুলোর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার জন্য পানি নিষ্কাশন নিরসন করার লক্ষ্যে স্ব-স্ব ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত পয়েন্ট গুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলে দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন টেকনাফ পৌরসভার আওতাধীন খাইয়ুকখালী খালটি খনন করার জন্য গত বছর একনেকে একটি বড় প্রকল্প বাজেট অনুমোদন হয়েছে। আশা করছি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উক্ত প্রকল্পটি বাতিল না করলে চলতি বছরের আগামী শীত মৌসুমে ঠিক সই ড্রেনেজ নির্মাণ,খাল খনন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। পানি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টিকারী ভুমিগ্রাসীদের দখলে থাকা স্থাপনা গুলো উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এদিকে টেকনাফ আবহাওয়া অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তা শফিউল আলম সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত অত্র উপজেলায় ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠদের অভিমত তাদের দেখা বিগত ৫০/৬০ বছরের মধ্যে অত্র উপজেলায় এই ধরনের বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়নি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *