নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরো তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭। এরমধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচ জন।

রোববার আইইডিসিআর’র নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি জানান, আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন মহিলা রয়েছেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ এর কোঠায়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যদিও এর আগে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছিলেন আজ তাদের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং হবে না। বিকল্প উপায়ে ভিডিও কনফারেন্সে সাংবাদিকদের যুক্ত করে আগামীকাল থেকে নিয়মিত ব্রিফিং করা হবে। তবে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে তিনি ব্রিফিংয়ে আসেন।
এদিকে দিনে দিনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারি। শনিবার রাতারাতি মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে আরও প্রায় ২ হাজারের মতো মানুষ। ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা রাতারাতি ১৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং এই সংখ্যা ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে। বিপর্যস্ত জনপদের তালিকার শীর্ষে এখনও ইটালি, স্পেন ও ইরান।
শনিবার সবমিলিয়ে ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলে থাবা বসিয়েছে কোভিড-১৯। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫ জন এবং বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫০য়ে। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৫ হাজার ৭৯৭ জন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়েছেন।
ইতালিতে একদিনে মৃত্যু ৭৯৩
ইটালিতে করোনাভাইরাসে শনিবার আরও ৭৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় কোনও দেশে একদিনে এটি সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।এর আগে বিশ্বের কোথাও এমনকি করোনার সূতিকাগার হিসাবে পরিচিত চীনের উহান শহরেও একদিনে এত লোক মারা যায়নি।
গত কয়েকদিন ধরেই দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। শুক্রবার সেদেশে রেকর্ড ৬২৭ জন মারা গিয়েছিল।
গত বুধবারই করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় প্রথমবারের মতো চীনকে ছাড়িয়ে যায় ইতালি। সেদিন সেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪৭৫ জন কোভিড-১৯ রোগী। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেটাই ছিল যেকোনও দেশের জন্য একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
শুক্রবার ও শনিবার নিজেদের সেই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে তারা। ফলে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪৮২৫ জনে পৌঁছেছে।
শনিবার সেখানে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৬৫৫৭ জন। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর তুলনায় ইতালিতে এখনও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা অনেক কম। শনিবার অব্দি সেখানে সুস্থ হয়েছেন মাত্র ৬০৭২ জন। এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪২ হাজার ৬৮১ জন। এদের মধ্যে ২৮৫৭ জনের অবস্থা গুরুতর।