নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ সোমবার ১০ মার্চ, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস। আজ প্রদত্ত বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন।

সম্প্রতি মাগুরায় আছিয়া নামক এক শিশুকে যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তা নৃশংসতা ও বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে আলেফ নামক র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক বন্দির স্ত্রীকে ধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছে তার যথাযথ তদন্ত করতে হবে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪০ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০২৪ সালে নারী ও শিশু ধর্ষণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪০০ টি। ধর্ষণের পর হত্যা ও আত্মহত্যা করেছে প্রায় ৪৫ জন নারী-শিশু। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে এই ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি নারীর প্রতি শ্লীলতাহানি ও টিজিং বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।
ইসলামে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তা জনসম্মুখে কার্যকর করার বিধান রয়েছে। ইসলাম একদিকে নারীকে হিজাব ও শালীনতার সাথে ঘরের বাহিরে চলাফেরার নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে পুরুষকে দৃষ্টি সংযত ও যৌনাঙ্গ হেফাজত রাখতে নির্দেশ দেয়।
বিবাহ ব্যবস্থাকে সহজ করার মধ্য দিয়ে অশ্লীলতার সকল পথ রুদ্ধ করতে বলেছে। মূলত ইসলামী এসব অনুশাসন রাষ্ট্রে যথাযথ বাস্তবায়িত না থাকার কারণে নারীর প্রতি সহিংসতা আজ বেড়েই চলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের শিল্পোন্নত দেশগুলোতে ধর্ষণের হার বিশ্বে এখনো সর্বোচ্চ।
দু:খজনক হলেও সত্যি যে তথাকথিত নারীবাদীরা এসব দেশে ব্যার্থ হয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে ধর্ষণ নির্মূলে শিক্ষাব্যবস্থার সর্বস্তরে নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি।