করোনা পরীক্ষা
নিজস্ব প্রতিবেদক : কোথাও নেওয়া হচ্ছে নমুনা কোথাও বা সেই নমুনা পরীক্ষার পর দেওয়া হচ্ছে ফল। এ কারণে করোনার নমুনা পরীক্ষায় ধাপে ধাপে জটিলতা থাকায় হতাশ হচ্ছেন সন্দেহভাজন রোগীরা। নমুনার ফল পেতে বিলম্ব হওয়ায় ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। তবে সব জায়গার ব্যবস্থা এমন নয় দাবি করে আইডিসিআর বলছে, দ্রুত ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে তাই ভোগান্তি কমবে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, টেস্ট পর্যন্ত পৌঁছাতে পৌঁছাতে আপনি মারা যাবেন। আপনারা টেস্ট করেন। সরকারের স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইডিসিআর এর হটলাইনে পরামর্শ পেয়ে নমুনা পরীক্ষার জন্য হন্য হয়ে ঘুরছেন আতঙ্কিত মোর্শেদুল ইসলাম। শিশু হাসপাতালের ৩ ভবনে ঘুরেও নমুনা জমা দিতে না পেরে ছুটছেন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে। তিনি বলেন, এখানে এসে আমি কোনো সাপোর্ট পায়নি। এখন জনস্বাস্থ্য হাসপাতালে যাচ্ছি।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর রাজধানীর কয়েকটি কেন্দ্রে করোনার নমুনা পরীক্ষার সুযোগ হলেও রোগী বান্ধব হয়নি সেবা। একই কেন্দ্রে নমুনা সংগ্রহ, পরীক্ষা ও দ্রুত ফলাফল প্রকাশের সুযোগ না থাকলে ভোগান্তি কমবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের অধ্যাপক ডা এবিএম মাকসুদুল আলম বলেন, যেখানে রোগী আসবে সেখানে যদি টেস্ট করা হতো তাহলে রোগীর ভোগান্তি কম হতো। সেই সঙ্গে রোগটি ছড়াতো না।
এদিকে সেবা প্রদানের পদ্ধতিগত জটিলতা ও দ্রুত কেন্দ্র প্রসার করতে না পারায় আইইডিসিআর এর তীব্র সমালোচনা করেছেন চিকিৎসকরা। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা রিদউয়ানউর রহমান বলেন, বড় বড় বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষা হতে পারে। মেডিকেল স্টুডেন্টদের কাজে লাগানো যেতে পারে।
দেশের সব অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের পরীক্ষার আওতায় আনতে পুরনো ১৫টি হাসপাতালের ল্যাব এখনই প্রস্তুতের জোর তাগিদ বিশ্লেষকদের। যে কোন মূল্যে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো না গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবার আশঙ্কা তাদের।
সব অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের পরীক্ষার আওতায় আনতে দেশের সব কয়েকটি মেডিক্যাল হাসপাতালগুলো ল্যাবকে প্রস্তুত করার দাবি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। যে কোনো মূলে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো না গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।