নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা দেয়ার কথা বলা হলেও চিকিৎসকরা বলছেন, সব ধরনের হাসপাতালেই তারা ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ৩ থেকে ৪টি টিমে ভাগ হয়ে টানা ১৪ দিন ডিউটি ও ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদেরকে সুস্থ করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাসপাতালে দিনরাত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ও সামাজিক সংক্রমণে এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ২৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বেশিরভাগ সুস্থ হলেও এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় পৌনে ছয়শ স্বাস্থ্যকর্মী। সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ দেশেও এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা না বাড়ালে ভবিষ্যতে চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়তে পারে। করোনার পাশাপাশি সুরক্ষা বাড়াতে বললেন অন্যান্য হাসপাতালেও।
কুয়েত-মৈত্রী করোনা সেল হাসপাতাল জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রহিম বলেন, এননাইন্টি-৫ মাস্ক সেটা লাগবে। আমাদের দেশ অন্যদের মতো উন্নত না, তাই ঝুঁকি তো আছেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বোচ্চ সুবিধা ও সুরক্ষা দিয়ে হাসপাতাল এলাকায় থাকার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি একাধিক চিকিৎসক ও নার্স টিমকে এখনই কোভিড-১৯ এর প্রশিক্ষণ দেয়া উচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাবেক উপদেস্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, সেই হাসপাতালটিতে তারা চিকিৎসা দেবে তাদের সবাইকে আমাদের সুরক্ষা দিতে হবে। তারা হাসপাতালেই থাকতে হবে।
এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের মানসিকভাবে দৃঢ় রাখতে পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রের সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে কাজ করা উচিত বলেও মনে করেন তারা।