মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক উদ্ধার করেছে কতৃপক্ষ। নিয়মিত অভিযান চালিয়ে কারাগারের ভেতর থেকে উদ্ধার হচ্ছে ইয়াবা, গাঁজা ও আঠা। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কারাগারের ভেতর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো ইয়াবা উদ্ধার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

গতকাল রবিবার ১৭ আগস্ট বিকেলে কারাগারের ভেতরে পদ্মা ভবন-১ ও পদ্মা ভবন-২ এ অভিযান চালিয়ে ৩২ পিস ইয়াবা ও আঠা উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ৩ আগস্ট একই ধরনের অভিযানে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছিল।
মুক্তি পাওয়া কয়েকজন প্রাক্তন বন্দি জানান, কারারক্ষীদের সহায়তায় নিয়মিত কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করছে মাদক। নজরদারি এড়িয়ে ভেতরে চলে মাদকের ব্যবসা ও সেবন। মাঝে মাঝে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার করা হলেও প্রকৃত চক্রকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।

তারা অভিযোগ করেন, ধরা পড়লে বন্দিদের সাময়িক শাস্তি দেওয়া হলেও কারাগারে মাদক প্রবেশের সঙ্গে জড়িত কারারক্ষীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।

বর্তমান ভারপ্রাপ্ত জেলার তানিয়া জামান মুঠোফোনে ইয়াবা ও আঠা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ঘটনায় জবাবদিহিতা প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অন্যদিকে জেল সুপার শওকত হোসেন মিয়া বলেন, “কারাগারের ভেতরে মাদক রাখার বা সেবনের দায়ে বন্দিদের শাস্তি দেওয়া হয়।” তবে জেলার বা কারারক্ষীদে বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না—এ বিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
কারা অভ্যন্তরীণ নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট দুজন কারারক্ষী দিনে ও রাতে সিভিল পোশাকে বিনা তল্লাশিতে প্রবেশের সুযোগ পান। এই নিয়মকেও অনেকেই মাদক প্রবেশের অন্যতম সুযোগ হিসেবে দেখছেন।
এভাবে বারবার মাদক উদ্ধারের ঘটনায় গোপালগঞ্জ জেলা কারাগার এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ।