গণমাধ্যমের ওপর নগ্ন আঘাত : সাংবাদিককে হেয় করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে ঝড়

Uncategorized আইন ও আদালত চট্টগ্রাম জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মোঃ শহিদুল ইসলাম (চট্টগ্রাম) :  চট্টগ্রামে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদনের সংবাদ প্রকাশ করায় জাতীয় দৈনিক আমার সময় পত্রিকার চট্টগ্রাম প্রতিনিধি সাংবাদিক মো. জাকারিয়া হোসেন এর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় জিডি করেছেন এবং দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি উঠেছে সাংবাদিক মহল ও সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে।


বিজ্ঞাপন

গত ১৬ সেপ্টেম্বর অনলাইনে এবং ১৭ সেপ্টেম্বর প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশিত হয়—“চট্টগ্রামের বন্দর থানাধীন মধ্যম হালিশহরের প্যাসিফিক হোম মিট ফুড প্রোডাক্টস নামের বেকারি কারখানায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন” শীর্ষক প্রতিবেদন।

সংবাদ প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাংবাদিক জাকারিয়ার ভিজিটিং কার্ড ও হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইল ছবি ব্যবহার করে “Abdullah Omar Nashif” নামের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে তাকে চাঁদাবাজ হিসেবে উপস্থাপনের ঘৃণ্য চেষ্টা করা হয়। এরপর সেই পোস্টের স্ক্রিনশট বন্দর-ইপিজেড-পতেঙ্গা সচেতন নাগরিক সমাজ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে (নম্বর: ০১৬৪৭৮৮০১২৫) ছড়িয়ে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে মানহানির অপপ্রয়াস চালানো হয়।


বিজ্ঞাপন

গ্রুপের সদস্যরা যখন প্রমাণ চান, তখন অসাধু মহল কোনো প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়ে মনগড়া গল্প সাজিয়ে সাংবাদিককে হেয় করার চেষ্টা চালায়। সাংবাদিক মহল মনে করছে—এটি একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নোংরা ষড়যন্ত্র এবং গণমাধ্যম ও গণতন্ত্রের প্রতি নগ্ন আঘাত।


বিজ্ঞাপন

তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেন বলেন—“আমি সাংবাদিকতার দায়িত্ব থেকে ভেজাল খাদ্য উৎপাদনের সত্যতা তুলে ধরেছি। অথচ অসাধু ব্যবসায়ী চক্র তাদের অপরাধ আড়াল করতে আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটি কেবল মানহানিকর নয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর ভয়ঙ্কর আঘাত।”

তিনি আরও জানান, ঘটনাটি নিয়ে তিনি ইতোমধ্যে বন্দর থানায় জিডি (নং-৯৩৫) করেছেন। প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে বিটিসিএল ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতা নিয়ে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন— “অপপ্রচারে আমি থামব না। ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কলম চলবেই। তদন্ত শেষে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা না হওয়া পর্যন্ত আমি পিছপা হব না।”

এ ঘটনায় সাংবাদিক মহল ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভ জানিয়ে বলেন—“একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিককে পরিকল্পিতভাবে মানহানি করার এই অপচেষ্টা গণতন্ত্র, মুক্ত গণমাধ্যম ও জনস্বার্থের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ। অপপ্রচারকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *