প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসাবান্ধব

অর্থনীতি জাতীয় জীবন-যাপন

এবারের বাজেট মানুষ রক্ষার: অর্থমন্ত্রী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেট হিসেবে দেখছে দেশের ব্যবসায়ীমহল। অপ্রদর্শিত অর্থবিনিয়োগের সুযোগ অর্থপাচারের প্রবণতা কমাবে বলে মত তাদের। এদিকে পোশাক শিল্পের শীর্ষ সংগঠন বাজেটকে ইতিবাচক বললেও উৎসে কর না বাড়ানো, নগদ প্রণোদনায় কর অব্যাহতি চেয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি এসএমই উদ্যোগেও শ্রমিকদের বেতন দিতে ২% সুদে তহবিল জোগান, কাজ হারানো বেকারদের জন্য সীমিত আকারে ভাতা চালুসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। সন্তোষ প্রকাশ করেন কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও ভর্তুকি বাড়ানোর মত উদ্যোগে।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন জানান, রিহ্যাবের যে ২১১টি সাব সেক্টর আছে এদের সবার কার্যক্রম বেড়ে যাবে এবং এ সেক্টরে প্রচুর বিনিয়োগ হবে বলে মনে করি। দেশে যদি বিনিয়োগ করার সুযোগ থাকে তাহলে আর বিদেশে টাকা পাচার হবে না।
প্রস্তাবিত বাজেটে আবাসন ও পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে। যা এখাতগুলোতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ লিখিত ও ভিডিও বার্তায় বাজেটকে করোনার অভিঘাত বিবেচনায় সময়োপযোগী বলে সন্তোষ প্রকাশ করার পাশাপাশি কিছু দাবিও জানিয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক জানান, কোভিড পরবর্তী বিশ্ব বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে অনলাইন ভিত্তিক বিপণন ব্যবস্থাটাকে অনেক বেশি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। যার জন্য এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের সুনির্দিষ্ট বাজেট প্রস্তাবনাগুলো পুনঃবিবেচনা করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো মনে করে জুনের শেষে পাস হতে যাওয়া বাজেটে তাদের দাবিগুলো বিবেচনা করবে সরকার।
এবারের বাজেট মানুষ রক্ষার: এবারের বাজেট মূলত মানুষ রক্ষার বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, টাকা কোথা থেকে আসবে সেটা পরে দেখা যাবে। আগে আমরা খরচ করতে চাই। পরে আয় কররো। মূলত মানুষকে রক্ষা করাটাই এবার সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার নতুন অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রস্তাবিত বাজেট-উত্তর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেট দেয়া হয়েছে মানুষকে রক্ষার জন্য। মানুষকে খাবার দিতে হবে। চাকরি হারাদের চাকরি দিতে হবে, চিকিৎসা দিতে হবে। এবারের বাজেটে আমরা এসব গুরুত্ব দিয়েছি। এই টাকা কোথা থেকে আসছে সেটা পরে দেখা যাবে। আগে খরচ করবো। তারপর আমরা টাকার কথা চিন্তা করবো।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। এটি করতে প্রয়োজনে মানুষের ঘরে ঘরে যাবো। তাদের কাছে সহযোগিতা চাইবো।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশের এই ক্লান্তিকালে ব্যবসায়ীদের দায়-দ্বায়িত্ব আছে। ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ মানুষকে বাঁচাতে আপনারা এগিয়ে আসেন।’


বিজ্ঞাপন