বরিশাল ব্যুরো : বর্তমান নৌপথকে স্বস্তিদায়ক নৌপথ করা হবে বলে আশ্বস্ত করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, নৌপথকে সুগম ও নিরাপদ করার জন্য আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে ঢাকা-বরিশাল নৌরুট পরিদর্শন করেছি। এতে যে সকল সমস্যা শনাক্ত হয়েছে সেগুলো স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধান করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে বরিশাল নদী বন্দর এলাকা পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আগে আমাদের ড্রেজার ছিলো না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আমলে কিছু ড্রেজার ক্রয় করা হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ বছরের আর কোন সরকার ড্রেজার সংগ্রহ করেনি।
কিন্তু গেলো ১০ বছরে সরকার ৪৫ টি ড্রেজার যুক্ত করেছে। আগে নদীপথে ত্রুটি দেখা দিলে ড্রেজারের জন্য একবছর অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু এখন তা তাৎক্ষনিক পাঠানো যাচ্ছে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ঢাকা-বরিশাল নৌপথে কিছু ডুবোচর রয়েছে। যার ড্রেজিং কাজ অল্প কিছু দিনের মধ্যে শুরু হবে। কিছু সমস্যাও আছে। যেমন অনেকেই মনে করেন ড্রেজিংয়ের কারণে নদী ভাঙ্গন হয়। আর একারণে জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই বাধা দেয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে নাব্যতা ঠিক রাখতে হলে ড্রেজিং করতে হবে।
নদীর বালু কেটে নদীতে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন, ক্যাপিটাল ও মেইনটেনেন্স ড্রেজিংয়ের ক্ষেত্রে কাটা বালু ফেলার বিষয়টি আলাদা। তবে আগে আমাদের ক্যাপাসিটি কম ছিলো। এখন আমরা ১০ কিলোমিটার দূরেও ড্রেজারের বালু কেটে ফেলতে পারবো। আর ১-২ কিলোমিটার দূরে ফেলা তো এখন সম্ভব।
তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহি বরিশালে ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। আর সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই বরিশাল নদী বন্দরকে সুন্দর ও আধুনিক করতে কাজ শুরু করা হবে।
নৌ-দুর্ঘটনায় দোষীদের বিচারের বিষয়ে বলেন, কোন দুর্ঘটনার তদন্তে বিলম্ব হওয়ার সুযোগ নেই। এরইমধ্যে আমরা একটি দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। ঢাকার দুর্ঘনায় আইনি তদন্ত চলছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের বিচারও হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন প্রতিটি ক্ষেত্রে সেই আইনের শাসন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এসময় মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক মোঃ শাহজাহান, নৌ-নিট্রা বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান, বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক ও নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার প্রমুখ।
মন্ত্রী শনিবার সকালে নারায়নগঞ্জ থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র দূরন্ত জাহাজ যোগে নদীপথে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তিনি নারায়নগঞ্জ, থেকে চাঁদপুর, মিয়ারচর, কালিগঞ্জ, চরশিবলি ও চরমোনাই হয়ে বেলা ৩ টায় বরিশাল নদী বন্দরে এসে পৌছান।