আহমেদ হৃদয় : সংসদ সদস্যদের মৃত্যুতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সংসদীয় আসন শূন্য হয়ে যায়। মহামারী করোনাভাইরাসের মধ্যে এই আসনগুলো শূন্য হওয়াতে কিছুটা বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। কারণ এই মহামারীর মধ্যেই আয়োজন করতে হচ্ছে শূন্য এই আসনগুলোর উপ-নির্বাচন। এদিকে মহামারী করোনার মধ্যেই আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে পাবনা-৪, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ এই তিনটি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ এই দুটি আসনের নির্বাচনের তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, এই দুটি আসনের নির্বাচনও খুব শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের শেষ দিকে কিংবা আগামী বছরের শুরুর দিকে ঢাকা-১৮ এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে কমিশন। তবে কমিশন সূত্র নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি কবে নাগাদ এই দুটি আসনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে সংসদীয় আসনগুলোতে উপ-নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আয়োজনও করছে নির্বাচন কমিশন। সারাদেশে চার হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন পরিষদ এবং প্রায় আড়াই শতাধিক পৌরসভা রয়েছে। এর পাশাপাশি সারাদেশে সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে কমিশন।
তবে করোনার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও প্রশ্ন উঠেছে ভোটারদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে। নির্বাচনের দিন ভোটাররা ভোট দিতে আসলে তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা কতটুকু সে বিষয়েও রয়েছে সংশয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ভোটারদের জন্য আমরা পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে কমিশন। তবে যে কেন্দ্রে ভোট হবে ভোটারদের স্বাস্থ নিরাপত্তার বিষয়ে সেই কেন্দ্রর সংশ্লিষ্টদের অনেকটা সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকেও খুব সতর্ক থাকতে হবে যেন নির্বাচনকে ঘিরে কোনো প্রার্থী কিংবা তার সমর্থকরা জনসমাগম না করতে পারে। এবং নির্বাচনের দিন স্থানীয় কেন্দ্রে পুলিশকে বেশ সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনো ভোটার মাস্ক ছাড়া কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেছেন, করোনার মধ্যেই আমাদের সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ভোটারদের সহযোগীতা আমাদের বেশি প্রয়োজন। কারণ তারা যদি নিজেরা নিজেদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেন্দ্রে ভোট দেয় তাহলে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করতে হচ্ছে না। তবে আমারা ভোটারদের জন্য সব ধরণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো। এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনও বেশ তৎপর থাকবে। তবে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে প্রয়োজনে পশাসনের সঙ্গেও আমরা কথা বলবো।