শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের আমতলা গাতি পাড়ায় বজ্রপাতে মারা গেছেন সাবেক ছাত্রনেতা নিহত সাহাঙ্গীর আলম ফরজন আলীর ছেলে। মৃত্যুর পর তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। হঠাৎ বজ্রপাতে তার মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মর্মান্তিক এ ঘটনার পর বিকেলে নিহত ছাত্রনেতার পরিবারের খোঁজ নিতে তাদের বাড়িতে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক এমপি ও সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোঃ মফিকুল হাসান তৃপ্তি। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন, সমবেদনা জানান এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, এভাবে একজন তরুণ ছাত্রনেতার অকাল মৃত্যু আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তার পরিবারের পাশে আমরা আছি এবং থাকব।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল আহাদ, যশোর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ইমদাদুল হক, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আল মামুন বাবলু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জনি হায়দার, পৌর যুবদলের সদস্য মোঃ মফিজুর রহমান পিন্টু, যুব নেতা মোঃ নজরুল, উপজেলা ছাত্রনেতা শাওন, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ তুহিন, শ্রমিক দলের মোঃ আব্দুল হান্নানসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী।

পরে মফিকুল হাসান তৃপ্তি নিজামপুর ইউনিয়ন ও গোড়পাড়ার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন। তিনি দিনমজুর মানুষের খোঁজখবর নেন এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনেন। এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের জীবন-জীবিকার নানা সমস্যা ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন। তিনি বলেন,
“এ দেশের আসল শক্তি হলো সাধারণ মানুষ। তাদের কষ্ট-দুর্দশা লাঘব করা এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সব সময় কাজ করে যাচ্ছি।”
তিনি আরও আশ্বস্ত করেন যে, জনগণের পাশে থেকে তাদের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।