নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যে সকল কমিটি ইতোমধ্যেই জমা দেয়া হয়েছে সেগুলো এখনই ঘোষণা করা হবে না। যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নাম তালিকায় আছে কি না- তা দেখা হবে।’ শনিবার ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (ডব্লিউবিবিআইপি) অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
তিনি বলেন, ‘স্বজন প্রীতি ও নিজেদের লোক দিয়ে কমিটি দেয়া হয়েছে কি না- তা খতিয়ে দেখা হবে। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে। অবিতর্কিত ও ত্যাগীদের কমিটিতে অগ্রাধিকার অবশ্যই দিতে হবে এবং বিতর্কিতদের বাদ দিতে হবে।’
কাদের বলেন, ‘অনেকেই মনে করছেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান থেমে গেছে, এ কথা মোটেও সত্য নয়। সরকারের দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দলের ভেতরেও অপকর্ম করলে কেউই রেহাই পাবে না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘করোনাকালে পিছিয়ে পড়া কাজগুলো অধিকতর সক্রিয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কর্মসম্পাদনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং অপচয় রোধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খালি জায়গা পেলেই যত্রতত্র ভবন নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। ভবন নয়, মানসম্মত সড়ক এবং সেতু নির্মাণই হতে হবে প্রধান কাজ।’
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত এক কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংসদ ভবন এলাকায় ২টি গাছের চারা রোপণ করেন।