নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশ দুঃসময় পার করছে না, বিএনপির রাজনীতিতে চরম দুঃসময় চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, যেভাবে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে, বিভিন্ন নির্বাচন ও উপ-নির্বাচনে ভরাডুবি হচ্ছে এবং জনগণের প্রত্যাখাত হচ্ছে, তা তাদের জন্য চরম দুঃসময় বটে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা এবং শিশু-কিশোরদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী গ্রন্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন ওবায়দুল কাদের।
‘দেশ দুঃসময় পার করছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ ধরনের মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন। কাদের বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারি বিশ্বজুড়ে সংকট সৃষ্টি করছে। সমৃদ্ধ দেশগুলোকেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।
‘বাংলাদেশ সীমিত সুযোগ নিয়ে সর্বোচ্চ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হলেও একটি দল অবিরাম সমালোচনা করে যাচ্ছে। ’
করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবিলায় সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্রষ্টার অপার কৃপা ও সরকারের অবিরাম প্রচেষ্টায় সংক্রমণ এখনও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু বিএনপি এ সময়েও দেশে চরম দুঃসময় দেখতে পাচ্ছে। তারা বলেছিল, মানুষ বিনা চিকিৎসায় রাস্তায় মরে পড়ে থাকবে। সে রকম পরিস্থিতি আসেনি বলেই কি তাদের কষ্ট হচ্ছে।
‘তারা সম্ভবত সে রকম দুঃসময়েরই প্রত্যাশা করছে। জীবন-জীবিকার সমন্বয় করে অর্থনীতি আবার সচল হতে শুরু করেছে, রপ্তানি, প্রবাসী আয়, রিজার্ভসহ অন্যান্য আর্থ-সামাজিক সূচক গুলো ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। অর্জিত হয়েছে ঈর্ষণীয় সমৃদ্ধি। এসব অর্জন তারা দেখে না। ’
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা নিছক কোনো সরকারপ্রধান নন। তিনি একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। যার ভাবনায় পরবর্তী নির্বাচন নয়, তার ভাবনার আকাশজুড়ে পরবর্তী জেনারেশন। তাই গ্রহণ করেছেন শত বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা। তিনি নিছক কোনো শাসক নন, নিজেকে দেশের সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার মেধা, সাহস ও সততার প্রতীক। সরকারপ্রধান হয়েও অতি সাধারণ জীবনযাপন তাকে করে তুলেছে অসাধারণ একজন। তার সন্তানদের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাতে দেননি। সরকারপ্রধানের সন্তান বলে কোনো প্রশ্রয় পাননি, সৃষ্টি করেননি হাওয়া ভবন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ সভাপতি মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী, সদস্যসচিব কেএম শহিদুল্লাহ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
এদিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ অনুষ্ঠানেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন। এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, করোনাকালে দলের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন, তা স্মরণীয়। এ ভাবে মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে রাজনীতি করতে হবে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।