কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক : এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে শুধু আওয়ামী লীগই আছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ জনগণের স্বার্থে কাজ করে। এই বাংলাদেশের জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নতির জন্যই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সেই স্বাধীনতার সুফলটা যেন প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায়, আমরা যেন দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারি, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের জন্য আত্মত্যাগ করলেও অন্য কোনো দল মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। সভায় দলের নেতাদেরও বিভিন্ন সাংগঠনিক নির্দেশনাও দেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আরো বলেন, আজকে যে কারণে আমাদের প্রায় ৫২২ জন নেতাকর্মীরা সব মৃত্যুবরণ করেছে। এই যে এতো বড় স্যাক্রিফাইস বোধহয় আর কোনো দল তো করেনি। তারা লিফ সার্ভিস দিয়েছে। ভালো মিডিয়া আছে। আর আমি তো প্রাইভেটে টেলিভিশন দিয়েছি রেডিও দিয়েছি অনেক পত্রিকা, যে যার মতো আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বলেই যাচ্ছে কিন্তু তাদেরকে মাঠে মানুষের পাশে দেখা যায়নি। তারা কেউ আবার বিচার করে, আওয়ামী লীগ কতটুকু করলো, কতটুকু করলো না?
কিন্তু তারা আয়নাতে নিজের চেহারা দেখে না। এই দেশে গরিব মানুষের সেবা করার অনেক লোক অনেক রকমের প্রতিষ্ঠান, অনেক কার্যক্রম আমরা দেখি কিন্তু করোনাকালীন সময় তো তাদের কোনো কার্যক্রম আমরা দেখি নিই। তখন সবাই ঘরে, তখন মানুষের পাশে আর কেউ নাই। মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ আছে।
সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, দেশেতো এখন ভালো ভালো মিডিয়া আছে। আমি তো প্রাইভেটে টেলিভিশন দিয়েছি, প্রাইভেটে রেডিও দিয়েছি, অনেক পত্রিকা। যে যার মতো আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বলেই যাচ্ছে। তাদেরকে কিন্তু মাঠে মানুষের পাশে দেখা যায়নি। তারা কেউ আবার বিচার করে আওয়ামী লীগের.. কতটুকু করল আর কতটুকু করলে না। কিন্তু তারা নিজের আয়না দিয়ে চেহারা দেখে না।
এই সঙ্কটকালে সাংগঠনিক কার্যক্রমও চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি মনে করি খুব বেশি যাতায়াত না করলেও সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলো আমাদের একটু অব্যাহত রাখতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের হয়ত সম্মেলন হয়েছে, কিন্তু করোনার কারণে আর আমরা কমিটিও করতে পারিনি বা কারও খোঁজও নিতে পারিনি। আমার মনে হয় এখন আস্তে আস্তে আমরা এগুলো করতে পারব।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, জনগণের সংগঠন হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে। সেটা এবারও এই করোনা মহামারির সময়েও প্রমাণ হয়েছে। জনগণের আস্থা, বিশ্বাসটা হচ্ছে আমাদের একমাত্র সম্বল। সেটাই আমাদের শক্তি।
আওয়ামী লীগের কাজের বিপরীতে বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাসের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তাদের ওই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ আমরা দেখেছি। সেগুলো আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। সবাইকে আমরা সহযোগিতা করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত আমরা এখনও তাদের খোঁজ নিচ্ছি। যেখানে যতটুকু পারি, তাদের সাহায্য আমরা করে যাচ্ছি’।
আমরা মানুষের পাশে আছি, মানুষের পাশে থাকবো উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন এই জনগণকে একটা উন্নত জীবন দিতে সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মুজিববর্ষে সেটাই আমাদের বড় অঙ্গীকার।
এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাংগঠনিক শক্তিটা হচ্ছে সবচেয়ে বড়। আওয়ামী লীগের যে তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক শক্তি আছে, এই করোনা মোকাবিলার সময় তারা যখন মাঠে নেমেছে তখনি সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের পার্টির কাজগুলো মোটামুটি কিছু কিছু জায়গায় সচল রয়েছে। ইলেকশনগুলো হয়েছে। সেখানে আমি মনে করি, আমাদের সাংগঠনিক কাযর্ক্রম খুব বেশি এখন যাতায়াত না করলেও কিছু সাংগঠনিক কাযক্রমগুলো আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের হয়ত সম্মেলন হয়েছে কিন্তু করোনার কারণে আমরা আর কমিটি করতে পারিনি বা কারো খোঁজও নিতে পারিনি যেতেও পারেনি, সেগুলোর আমার এখন মনে হয় একটা সময়। আস্তে আস্তে আমরা সেগুলোর কাজ করতে পারবো। আমাদের সেই কাজগুলো করে দিতে হবে। সাংগঠনিক শক্তিটা হচ্ছে সবচেয়ে বড়। আওয়ামী লীগের যে তৃণমূল পর‌্যায়ে সাংগঠনিক শক্তি আছে, এই করোনা মোকাবিলার সময় তারা যখন মাঠে নেমেছে তখনি সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য সব থেকে কাজ করে। এই বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নতির জন্যই জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সেই স্বাধীনতার সুফলটা যেন প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌছায় আমরা যেন দারিদ্রম্ক্তু বাংলাদেশ গড়তে পারি, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, প্রায় ৬ মাস পর বসলো দলের কার্যনির্বাহী। সর্বশেষ গত ৯ মার্চ গণভবনে বসে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা।