নইন আবু নাঈম : বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা ও বন্দর কর্তৃপক্ষের নানামুখী যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলে মোংলা সমুদ্র বন্দর এখন ক্রমশই উন্নতির দিকে ধাপিত হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতায় দেশী-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজও রয়েছে প্রতিনিয়ত। এক সময় বন্দরের জেটি এলাকায় নদী খনন না হওয়ায় নাব্যতা সংকটের কারনে জেটিতে জাহাজ নঙ্গর করতে পারতো না। নদী ড্রেজিং চলমান থাকায় সেই জেটিতে এখন জাহাজ নঙ্গরে আর সমস্যা নেই। রবিবার ২৫ অক্টোবর মোংলা বন্দরের সবকয়টি জেটিতে বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজে পরিপূর্ণ। বন্দর সৃষ্টি এই প্রথম ৫টি জেটিতে ৫টি জাহাজই নঙ্গরে রয়েছে। পশুর নদীর জেটি সংলগ্ন ও চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি, মোংলা বন্দরের সমতা বাড়ায় একই সাথে ৫টি জাহাজ জেটিতে মালামাল খালাসের জন্য বার্থিং করা হয়। ডেইজি, জেনারেল কার্গো বোঝাই লাইব্রেরিয়ার জাহাজ কোটারিয়া/০৪৭৯ ডব্লিউ, কন্টেইনার বোঝাই সিঙ্গাপুরের জাহাজ কোটাহরম্যাট, সিঙ্গাপুরের জাহাজ কন্টেইনার হনর পেসক্যাডস, প্রজেক্ট কার্গো বোঝাই পানামার জাহাজ মালয়েশিয়া স্টার, গাড়ী বোঝাই মালয়েশিয়ার জাহাজ মোংলা বন্দর জেটিতে বার্থিং করেন। জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলাের মধ্যে ৭মিটার ড্রাফটেরও জাহাজ রয়েছে ২টি। বন্দর জেটিতে ৫টি জাহাজসহ বর্তমানে মোট ১১টি বানিজ্যিক জাহাজ বন্দরে অবস্থান করছে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মোংলা বন্দরের উন্নয়ন ও সমতা বৃদ্ধিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দৃষ্টি ও সময়পযোগী পদক্ষেপের কারণে বন্দর প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে এই প্রথম বন্দরের সকল জেটি বিদেশী জাহাজে পরিপূর্ণ রয়েছে। রোববার রাতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মোঃ মাকরুজ্জামান’র স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, মোংলা সমুদ্র বন্দর অর্থনীতির বাতী ঘর হিসেবে বিবেচিত। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় করোনা মহামারীর মধ্যেও মোংলা বন্দরের কার্যক্রম কখনই বন্ধ থাকেনি। এ সরকারে আমলে মোংলা বন্দর উন্নয়নের জন্য ১৪টি প্রকল্পসহ ৫০টিরও অধিক উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ফলে বন্দর ফের কর্মচাঞ্চল্য হয়ে ওঠে এবং বন্দর ব্যাবহার প্রায় প্রতি বছর ১৭ শতাংশ হাড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া নদীর নব্যতা সংকট কাটিয়য়ে আজ বন্দর জেটিতে সব কয়টি পয়েন্টে বিদেশী জাহাজে পরিপুর্ন।