জুরাইনে জাল টাকা ও রুপিসহ গ্রেপ্তার ৯

অপরাধ রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর জুরাইন এলাকায় জাল টাকা ও ভারতীয় মুদ্রা রুপি তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সেখান থেকে জালনোট তৈরির পাইকারি ডিলার এবং খুচরা বিক্রেতা নারী-পুরুষসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলমের নেতৃত্বে ডিবি গুলশান বিভাগ এই অভিযান পরিচালনা করে।


বিজ্ঞাপন

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, বাদল খান, মালেক ফরাজী, জসিম উদ্দিন ও শিহাব উল্লেখযোগ্য। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছে থেকে আসল ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০ লাখ জাল ভারতীয় রুপি এবং ৩২ লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।


বিজ্ঞাপন

গুলশান গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান বলেন, গুলশান বিভাগের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের এসি মহিউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রকে অনুসরণ করে আসছিল। চক্রের বিভিন্ন সদস্য বাংলাদেশের বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে জাল টাকা তৈরি করতো।

‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ উপলক্ষে জাল রুপি এবং টাকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা মহানগরীর জুরাইন এলাকার শহীদ শাহাদত হোসেন রোডের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এ কাজ করা হচ্ছিলো। গ্রেপ্তারকৃতদের সবার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে জানান মশিউর রহমান।

আসামিদের সম্পর্কে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘২০১৯ সালে এই চক্রের জাকির ও তার স্ত্রী ডেমরা থানা এলাকায় একটি অত্যাধুনিক বাসা থেকে জাল রুপি উৎপাদনকালে গ্রেপ্তার হয়েছিলো। জাকির একজন কুখ্যাত ফিনিশার, হাতুড়ে ইঞ্জিনিয়ার এবং জাল টাকা ও রুপি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানের অধিকারী।

তিনি আরো জানান, বরিশালসহ দক্ষিণ অঞ্চলে জালনোট সরবরাহকারীদের মূল হোতা জামাল। এদের আছে এক শক্ত নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গার খোলা বাজার, বিপণি বিতান, যানবাহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের কাছে ধোঁকা দিয়ে জাল টাকা বিক্রি করা হয়।

তাদের কারখানা থেকে জাল টাকা এবং রুপি তৈরি করার মতো বিপুল পরিমাণ বিশেষ ধরনের কাগজ, নিরাপত্তা সুতা, বিভিন্ন ধরনের রঙ, কেমিক্যাল জব্দ করা হয়েছে। যা দিয়ে কয়েক কোটি জাল টাকা তৈরি করা যাবে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলা দেয়া হচ্ছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ড চাইবে।