নিজস্ব প্রতিনিধি : খুলনার কয়রা উপজেলায় টেন্ডার দরপত্র ছাড়াই বাঁধ মেরামত কাজ পরিচালনা এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ শাওন মিয়ার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে দুদক টিম অভিযোগস্থল পরিদর্শন করে। তথ্যাবলি যাচাইয়ে টিম জানতে পারে, ডিরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথড (ডিপিএম) -এর মাধ্যমে সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বাঁধ মেরামত চলমান, যার অর্ধেক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা বাস্তবায়িত হবে, বাকি অর্ধেক বাস্তবায়িত হবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কর্তৃক। দুদক টিমের পরিদর্শনকালে স্থানীয় জনসাধারণ বাঁধ নির্মাণকাজের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। টিম জানতে পারে, কাজসমূহ এখনো চলমান রয়েছে এবং বিল পরিশোধ করা হয়নি। প্রাপ্ত অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজের যথাযথ মান নিশ্চিত করে বিল পরিশোধ করা হবে এবং সময়ে সময়ে কমিশনকে অবহিত করা হবে মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ডাক্তার কর্তৃক হাসপাতালে অনুপস্থিতি এবং সেবাদানে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয় হতে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ডাঃ আব্দুল মুকিত করোনাকালীন সময় হতে অদ্যাবধি কর্মস্থলে যোগদান করেননি মর্মে প্রাথমিক প্রমাণ পায়। এ অনিয়মের বিষয়ে অবিলম্বে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে দুদক টিম। উল্লিখিত অভিযোগ এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাপ্ত নানা অনিয়মের বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশপূর্বক কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযান পরিচালনাকারী টিম।
এছাড়াও দুদক হটলাইনে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৪ দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।