নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা জেলার সাভারে ৬টি ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ, অনুমোদনহীন ও আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৪) ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি ফার্মেসিগুলো থেকে জব্দ করা ওষুধ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) র্যাব জনসংযোগ শাখার পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে জানানো হয় বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত র্যাব-৪-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতটি অভিযান পরিচালনা করে এ অর্থদণ্ড প্রদান করে।
র্যাবের সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, নকল কেনাবেচা ও উৎপাদনের বিরুদ্ধে র্যাবের ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে র্যাব-৪-এর একটি আভিযানিক দল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. মওদুদ আহম্মেদ এবং ওষুধ পরিদর্শক কৌশিকের সহযোগিতায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে ঢাকা জেলার সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ, অনুমোদনহীন ও আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির অপরাধে নিম্নোক্ত ৬টি ফার্মেসির মালিককে মোট ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।
অভিযানে সাগর মেডিকেলের মালিক গোপাল ঘোষকে (৭৪) নগদ ৭৫ হাজার, আল মুস্তাকিম ফার্মেসির মালিক রাশেদুল হাসানকে (৪১) ২৫ হাজার, মুক্তি ফার্মেসির মালিক জীবন সরকারকে (৩৬) ৭৫ হাজার, শিকদার ফার্সেসির মালিক মনিরুজ্জামানকে (৩০) ৫০ হাজার, সুমন ফার্মেসির মালিক এমডি ফারুককে (৪০) ৫০ হাজার এবং জয় ফার্মেসির মালিক সুকুমার ঘোষকে (৪৪) ১০ হাজার নগদ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।