নিজস্ব প্রতিনিধি : ২৩ জানুয়ারি ২০২১ খ্রি. দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত “মহামারীতে বেড়েছে ধর্ষণ” শিরোনামে সংবাদের সর্বশেষ প্যারায় বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট সালমা আলী’র উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে “করোনা মহামারীতে চলাচলের শিথিলতার কারণে অনেক ধর্ষণ মামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। মহামারীতে জবাবদিহিতা কম থাকায় ধর্ষণের মতো অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে।”
বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অফিসের ভাষ্যঃ
করোনাকালে পুলিশের কার্যক্রম থেমে ছিল না এবং নেই। জনগণের সেবায় পুলিশের দুই লক্ষাধিক সদস্য সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিলেন এবং আছেন। থানাগুলোতেও সার্বক্ষণিক সেবা কার্যক্রম চালু ছিল। তাই, কেউ যদি তার নিজস্ব কোনো সীমাবদ্ধতার কারণে পুলিশকে কোনো তথ্য না দিয়ে থাকেন বা পুলিশের শরণাপন্ন না হয়ে থাকেন, তার দায় নির্বিচারে পুলিশের ওপর চাপানো ঠিক নয়।
বাংলাদেশে প্রত্যেকটি ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রেই পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাগত সেবা দিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকে। অগণিত ঘটনার মধ্যে যে দু’একটি ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এসেছে, সেক্ষেত্রে দায় প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশই ব্যবস্থা নিয়েছে সর্বাগ্রে। পাশাপাশি, ধর্ষণ রুখতে ধর্ষণ বিরোধী নানামুখী প্রচারণাও চালিয়ে থাকে বাংলাদেশ পুলিশ। তাই, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না” দাবীটি মোটেও সঠিক ও যৌক্তিক নয়। (উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম প্রধান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশকে সম্পৃক্ত করেছে প্রকাশিত সংবাদটি)