সরকারের ছাড়পত্র পেল ৫০ লাখ টিকা

এইমাত্র স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকারিভাবে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫০ লাখ ডোজ টিকার মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।


বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেলে মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


বিজ্ঞাপন

রাজধানীর মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, টিকার প্রতিটি লটের নমুনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামীকাল এই টিকা দিয়েই শুরু হবে করোনাভাইরাসের টিকাদান।

এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইট টিকার ওই চালান নিয়ে সোমবার ঢাকা পৌঁছায়। পরে তা নিয়ে যাওয়া হয় টঙ্গীতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়্যারহাউজে। সেখান থেকে প্রতিটি লটের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছিল।

বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সরকারকে এই টিকা সরবরাহ করছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি পাওয়ায় বেক্সিমকো এখন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলায় জেলায় টিকা পৌঁছে দেবে।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এই ভ্যাকসিন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি। যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ সংস্থা এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে এবং সেদেশে এটি প্রয়োগ করা হচ্ছে। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী বিশ্বমানের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছে। ভারতের সেই সব কাগজও পরীক্ষা করা হয়েছে।

করোনার মহামারির এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর আশা হয়ে এসেছে টিকা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড সেরাম ইনস্টিটিউটেও তৈরি হচ্ছে।

এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠানোর কথা সেরাম ইনস্টিটিউটের।

এর আগে ভারত সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে একই টিকার ২০ লাখ ডোজ পাওয়ার পর সরকার ২৭ জানুয়ারি থেকে টিকা প্রয়োগ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনের মধ্যে পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদিন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন নার্সকে ভ্যাকসিন দেয়ার মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হবে। ইতোমধ্যে কুর্মিটোলা হাসপাতালের শীর্ষ কর্মকর্তারা ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য তিনজন নার্সের নাম চূড়ান্ত করেন। তাদের মধ্যে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ যিনি থাকবেন তাকেই প্রথম ভ্যাকসিন দেয়া হবে।

তালিকাভুক্ত তিনজন নার্স কারা সে সম্পর্কে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দিন ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।