নিজস্ব প্রতিবেদক : মুঠোফোন অপারেটরদের ফাঁকিবাজি বন্ধে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে বিটিআরসি। এই সিস্টেম চালু হলে অপ্রয়োজনীয় সেবার নামে গ্রাহকের অজান্তে টাকা কাটতে পারবে না অপারেটররা। এমনকি গোপন রাখতে পারবে না কলড্রপ হার, ইন্টারনেটে ধীরগতিসহ কোনো তথ্যই। মুঠোফোন সেবার প্রতিটি মুহূর্ত থাকবে নজরদারিতে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা আশা করছে জুন মাসের মধ্যে চালু হবে এ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা। এ বিষয়ে বাংলালিংক, গ্রামীণফোন মন্তব্য না করলেও স্বাগত জানিয়েছে রবি।
করোনাকালে হুটহাট কলড্রপ, কথা শুনতে না পাওয়া, ইন্টারনেটের ধীরগতি, সেবার নামে গ্রাহকের অজান্তে টাকা কাটাসহ মুঠোফোন সেবা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই গ্রাহকদের। সেবার বিভিন্ন পর্যায়ে ফাঁকি থাকলেও মান পরিমাপ কিংবা নজরদারির প্রযুক্তি নেই বিটিআরসির কাছে। টেলিকম সেবার চিত্র জানতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার একমাত্র ভরসা মুঠোফোন অপারেটরদের দেয়া প্রতিবেদন।
এসব সমস্যা দূর করতে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন করতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই নজরদারি ব্যবস্থার দুটি অংশ রয়েছে। একটি বিটিআরসিতে স্থাপিত মনিটরিং এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা করবে। অন্য অংশটি মুঠোফোন অপারেটরদের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক পয়েন্টে যুক্ত থাকবে, যা প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে বিটিআরসিতে পাঠাবে। এ ছাড়া অপারেটররা যেসব ট্যারিফ-সেবা বা প্যাকেজের মূল্য বাস্তবায়ন করছে তাতে বিটিআরসির অনুমোদন আছে কিনা—তাও যাচাই করা যাবে। তবে ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিটিআরসির প্রকৌশল ও পরিচালন বিভাগের কমিশনার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মোবাইল ফোনে কল করেছেন যেটা তার চেয়ে টাকার পরিমান বেশি, এটা সাবস্ক্রাইবের ঠিক সেটা হিসাব পাচ্ছে না। এ সব ক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রাখবে।
টিএমএস সিস্টেমের বিষয়ে যোগাযোগ করলেও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বাংলালিংক সাড়া দেয়নি গ্রামীণফোনও। তবে এ উদ্যোগকে ইতিবাচক বলছে রবি।
রবির হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম বলেন, অবশ্যই আমরা এটাকে সমর্থন জানাই। আমরা মনে করি, এটার মাধ্যমে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ওপর মানুষের আস্থাটা বাড়বে।
বিটিআরসি বলছে, প্রাথমিকভাবে এই সিস্টেমে মুঠোফোন অপারেটরররা যুক্ত হবে। পরে অন্যান্য অপারেটরগুলো-আইজিডব্লিউ, আইআইজি, আইসিএক্সকে এই সিস্টেমে যুক্ত করা হবে।