আমাকে হত্যার চেষ্টা চলছে: কাদের মির্জা

রাজনীতি সারাদেশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমাকে হত্যার চেষ্টা চলছে। এমপি একরামের বাড়িতে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত আমার নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে প্রশাসন।’ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এমন অভিযোগ করেন কাদের মির্জা।
মেয়র বলেন, ‘আমার প্রত্যেক নেতাকর্মীর বাড়িতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তাদের পরিবারের লোকজনকে নির্যাতন করছে। এখানে সবকিছু একতরফা হচ্ছে। প্রশাসনও আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে। শুক্রবারও এমপি একরামের বাড়িতে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
গত ৯ মার্চ রাতে বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন। এরপর থমথমে অবস্থার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সোয়েব উদ্দিন খানের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক বাদলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এছাড়া গত মঙ্গলবার রাতের সংঘর্ষের পর থেকে পৌর ভবনের তিন তলায় অবস্থান নেয়া মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা টানা চতুর্থ দিনের মতো সেখানেই অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পৌর ভবনের চারপাশে অবস্থান করছে। গ্রেপ্তার হতে পারেন এমন গুজবে গতকাল সারাদিন গণমাধ্যম কর্মীরা বসুরহাটে ভিড় জমালেও শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। শুক্রবার সকালে এবং দুপুরে কিছু সময়ের জন্য কাদের মির্জা পৌরসভা কার্যালয়ের বাহিরে এলেও পরে আবার আগের অবস্থানে চলে যান।
শনিবার পৌর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, ‘ওইদিন আমাকে হত্যা করার জন্য বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে দুইশোর বেশি গুলি করেছে। আমার ১০-১২ জন নেতাকর্মী এখনও ঢাকায় চিকিৎসাধীন। এছাড়াও গত কয়েকদিনে আমার ৭-৮ জন নেতার্কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বসুরহাটের পৌর মেয়র আরও বলেন, ‘আমি নিজে নিরাপত্তাহীনতায় না ভুগলেও আমার নেতাকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ বিষয়ে প্রশাসন ও সরকার কি ব্যবস্থা নেবে তা তারা জানে। আমার শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকা অবস্থায় আমি এখান থেকে নড়ব না।
পক্ষ দুটির দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনার যে তদন্ত তা তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত রায় নন্দীকে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআইকে দিয়ে করাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।
কাদের মির্জা বলেন, তদন্তে যদি আমি বা আমার কোনো কর্মীর অপরাধ প্রমাণ হয়, তাহলে যে শাস্তি দেয়া হবে তা আমরা মাথা পেতে মেনে নেব।


বিজ্ঞাপন