কুমিল্লায় বিশ্ব মা দিবস পালিত

Uncategorized ইতিহাস ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর অকৃত্রিম ভালোবাসা। তাইতো বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার এই দিনটি পালিত হয় মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য।


বিজ্ঞাপন

তারই ধরাবাহিকতায় গত রোববার (১১ মে) কুমিল্লা কালিয়াজুরীতে পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস। ভ্রুণ থেকে দশটি মাস গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, সেই মায়ের সম্মানে তারই চরণে আজকের এ দিনে নত তাবৎ পৃথিবীর সন্তানেরা। মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণ প্রয়োজন হয়। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালোবাসা থাকে। তবুও আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই আজকের দিনটি।


বিজ্ঞাপন

জানা যায়- প্রাচীন গ্রিসে বিশ্ব মা দিবস পালন করা হলেও আধুনিককালে এর প্রবর্তন করেন এক মার্কিন নারী। ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন।


বিজ্ঞাপন

ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। এরপর ১৯১৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। বাংলাদেশে এই দিনটি ঘরোয়া পরিবেশে উদযাপন করা হয়। সন্তানরা মায়েদের ফুল, উপহার ও ভালোবাসার বার্তা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন কবিতা, ছবি ও স্ট্যাটাসের মাধ্যমে। এছাড়া, ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো বিশেষ কালেকশন প্রকাশ করে, যেমন রঙ বাংলাদেশ তাদের টাই-ডাই কটন শাড়ির সংগ্রহ উন্মোচন করেছে এই উপলক্ষে। মা দিবসের মূল বার্তা হলো মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, ত্যাগ ও স্নেহের প্রতি সম্মান জানানো।

এই দিনে আমরা আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটিকে মনে করি, যিনি আমাদের প্রথম শিক্ষক, অভিভাবক ও বন্ধু। তাই বিশ্ব মা দিবসে পৃথিবীর সব মায়েরাই যেন সুখী থাকেন, সন্তান হিসেবে এই যেন হয় আমাদের সবার প্রত্যাশা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *