স্বাস্থ্যবিধি মানতে সকলকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করতে চাই : আইজিপি

অপরাধ জাতীয় স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না মেনে চলায় আবার করোনায় আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার সংক্রমণের আকস্মিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়াম রাজারবাগে আয়োজিত কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় দেশব্যাপী বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে করোনা সচেতনতা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এসময় প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সম্পন্ন নানা পদক্ষেপের কারণে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। বিশ্বের ২২টি দেশ প্রথম দফায় করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং দক্ষিণ এশিয়াতে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ দারুণ ভূমিকা দেখিয়েছে। আর করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মানতে আমরা সকলকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করতে চাই।
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘মাস্ক পরার অভ্যেস, কোভিডমুক্ত বাংলাদেশ’-এই স্লোগান সামনে নিয়ে ২১ মার্চ থেকে দেশব্যাপী জনগণকে মাস্ক পড়ায় উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি শুরু করছে পুলিশ। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো জনগণের মধ্যে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করা। এটা চলমান থাকবে। আর দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, ঘর থেকে বাইরে আসলে মাস্ক পরবেন, কখনোই মাস্ক নিয়ে আসতে ভুলবেন না। আমরা যেহেতু গ্লোবাল ভিলেজে বসবাস করি আমরা সংক্রমণমুক্ত হলেও সংক্রমণের হুমকি থেকে যায়। যতদিন পর্যন্ত সারাবিশ্ব করোনা ঝুঁকি মুক্ত না হয়, ততদিন আমাদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। নিজের, নিজের সন্তানের, পরিবারের জন্য এবং বয়স্ক নাগরিকদের চিন্তা করে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।
আইজিপি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে গ্রামে-গঞ্জেও মানুষকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুপ্রেরণা দেওয়া ও উদ্বুদ্ধ করা হবে। প্রয়োজনে মানুষের মাঝে আমরা বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করবো, অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান আমাদের সাথে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে চাইলে, স্বাগত জানাই। করোনাকালে বাংলাদেশ পুলিশ কখনও দায়িত্ব থেকে পিছপা হয়নি উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, করোনা মোকাবেলায় আমরা মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। এই করোনার সময়ে আমরা খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মৃতদেহের সৎকারের ব্যবস্থা করেছি। করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের ৮৭ জন সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন এবং ২০ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
সমাবেশ-গণজমায়েতের বিষয়ে আইজি বলেন, এগুলো পরিহার করাই ভালো। আর একান্তই যদি করতে হয় তাহলে অবশ্যই বিধিবদ্ধভাবে করবেন এবং কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করবেন।


বিজ্ঞাপন