বেনাপোল প্রতিনিধি : ১৯৯৭ সালের ৪ আগস্ট। ঢাকার রমনা থানাধীন পরীবাগ এলাকায় ভয়াবহ নির্মমতায় যুবদল নেতা মোশাররফ হোসেনকে জবাই করে ও মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। যশোরের শার্শা উপজেলার ভবেরবেড় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এই তরুণ রাজনীতিকের মৃত্যুতে তোলপাড় হয়েছিল এলাকায়। কিন্তু ২৮ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও তার হত্যার বিচার হয়নি। মামলার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই, গ্রেফতার হয়নি কোনো খুনি।

নিহত মোশাররফ হোসেনের পিতা ছিলেন মৃত মোসলেম আলি। তার সন্তানরা ছিলেন তখন অপ্রাপ্তবয়স্ক। আজ প্রাপ্তবয়স্ক বড় ছেলে নিপুণ হোসেন বলেন, “আমরা তখন শিশু ছিলাম, বাবার লাশ দেখে কিছুই বুঝিনি। আজ বুঝি কী হারিয়েছি। কিন্তু এতদিনেও বিচার না হওয়ায় আমরা চরম হতাশ। আমরা আমার বাবার খুনিদের বিচার চাই।”

নিপুণ আরও জানান, বাবার মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন মা। আজ ২৮ বছর পরেও তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি। “আমার মা মানসিক রোগী হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান। আমাদের পরিবার একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে।”

স্থানীয়রা মনে করেন, মোশাররফ হোসেন ছিলেন এলাকার প্রভাবশালী যুব নেতা। তার জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। দীর্ঘদিনেও কোনো বিচার না হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।

পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি—পুনরায় তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।