আজকের দেশ রিপোর্ট : বর্তমান দেশে প্রায় ৩০০ টি ইউনানী ও ২০০টি আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানির ঔষধ উৎপাদন চলছে। এদের মধ্যে ২০-৩০ টি প্রতিষ্ঠান ফর্মুলা মেনে ঔষধ তৈরি করে বাকী সব স্টেরয়েড, সিপরোহেপ্টাডিন ইত্যাদি কেমিক্যালের ব্যবহার করে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা জায় মুনাফা লোভী এক শ্রেণির ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানির মালিক পক্ষ ডেক্সামিথাসন ও সিপরোহেপ্টাডিন দিয়ে রুচি বর্ধক ভিটামিন সিরাপ, ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। যার মুল্য মাত্র ৩৫/৪০/৪৫/৫০ টাকা। এতো কম দামে এসব রুচি বর্ধক ভিটামিন সিরাপ, ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট বিক্রি করে ঔষধ কোম্পানির মালিকেরা কিভাবে অতি অল্প সময়ের ব্যাবধানে রাতারাতি কোটি পতি বনে যাচ্ছেন কিন্তু জনগণের কোন উপকারে আসছে না এইসব রুচি বর্ধক ভিটামিন সিরাপ ও ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট সেবন করে। রাজধানীর মিডফোর্ড সহ সারাদেশের ঔষধের ফার্মেসিতে বেশ দাপটের সাথেই ওইসব রুচি বর্ধক ঔষধ বিশাল একটা যায়গা দখল করে আছে। সুচতুর ও মুনাফালোভী ফার্মেসীর মালিকেরা অল্প টাকায় কেনা এসব বিতর্কিত ঔষধ লেবেল কার্টনে মুদ্রিত দামেই সেগুলো অধিকাংশ গরীব দুঃখী (৯৫%) যারা অপুষ্টিতে ভোগে তাদের কাছে বিক্রি করে। তারা খেয়ে কিছু দিনের মধ্যে ব্রয়লার মুরগীর মত হয়ে যায়। ঔষধ গুলো খেয়ে যেহেতু মানুষ মোটা হয় তাই তারা এই ঔষধ খাবারের সাথে মিশিয়ে ব্রয়লার মুরগীকে খাওয়ায়। মুরগী যখন মোটা হয় তখন মাছকে খাওয়ায়, মাছ যখন মোটা হয় তখন গরু,ছাগলকে খাওয়ায়। এভাবে মানুষ->গরু->ছাগল-> হাস/ মুরগী সবাই মোটা হচ্ছে।
আর জনগণ এতদূর চিন্তা না করেই মুরগী ফ্রাই, রোস্ট, ঝাল ফ্রাই, গ্রীল, গরুর মাংস সহ সব কিছুই খাচ্ছেন। এভাবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সারা দেশের বিতর্কিত এসব ঔষধ কোম্পানির মালিকদের কারণে মানুষ স্টেরয়েড খাচ্ছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসব বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির বিষয়ে অবগত আছেন তথাপি তারা এসব দেখেও না দেখার ভান করছেন। বাজারে প্রচলিত রুচি বর্ধক ভিটামিন সিরাপ, ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট একই নামে একই রকম মোড়কে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রবিধানমালা অনুযায়ী একই নাম বা লেবেল কার্টনের সদৃশ্য থাকা আইনত দন্ডনীয়। অথচ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ রা এবং নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাতারাতি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ঔষধ কোম্পানির মালিকের চাহিদা অনুযায়ী লেবেল কার্টনের অনুমোদন করিয়ে দেন। প্রমান স্বরুপ বলা যায়, একই রুচিট্যাব ঢাকা ও পাবনার দুটি ঔষধ কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া আছে আবার রুচিকন, রুচিনীড, রুচিভিট,রুচিভিটা, রুচিরোজ, রুচিতা ,রুচি প্লাস, রুচি গোল্ড সহ প্রায় ২০/২২ টি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানির মালিকেরা এসব বিতর্কিত ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। এসব বিতর্কিত রুচি বর্ধক ভিটামিন সিরাপ, ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট সেবন করলে ক্ষুধা ও প্রচুর পরিমানে ঘুম হয় যেকারণে মানুষ অতি অল্প সময়ের ব্যাবধানে স্থুলকার হলেও ওইসব রুচি বর্ধক ঔষধ সেবন করা বাদ দিলে মানুষ পূর্বের স্থানে ফিরে আসে, তবে বিরুপ প্রতিক্রিয়া স্বরুপ লিভার, কিডনি ও হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা থাকে শতভাগ। দেশের জনস্বাস্থ্যের বারটা বাজিয়ে
কোটি কোটি টাকা কামিয়ে কোম্পানির মালিকরা তাদের পরিবার সহ ব্রয়লার মুরগীর মত ফুলছে। সচেতন মহল এর মতে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো মাহবুবুর রহমান যদি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানির এসব রুচি বর্ধক ভিটামিন সিরাপ, ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট এর অনুমোদন করা নথিপত্র যাচাই-বাছাই করেন তাহলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনেক রাঘব বোয়াল এবং ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানির অনেক রাঘোব বোয়াল ধরা পড়ে যাবে।