নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতো ঘটনা বন্ধ না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান খামাল। তিনি বলেছেন, হরতালে জানমাল রক্ষার্থে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নাশকতার চেষ্টা করা হচ্ছে। এগুলো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, হেফাজতের পেছন থেকে অন্য কেউ উসকানি দিচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হেফাজতের ডাকা হরতালে রোববার সকাল থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক বন্ধ রয়েছে। গতকাল শনিবার হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে তোলা ইটের দেয়াল এখনও রয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে সড়কের দুটি স্থান খুঁড়ে ফেলা হয়েছে।
এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার যাত্রীরা। যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় হেঁটে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক কাজ করছে। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হাটহাজারীতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি র্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। সড়কে পুলিশের সাঁজোয়া যানসহ পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি টহল দিচ্ছে।
এদিকে হরতাল সমর্থনে রোববার সকাল থেকে উত্তপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশপাশের এলাকা। শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। জেলার বিভিন্ন সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, গাছ ও খুঁটি ফেলে অবরোধ করে রাখা হয়েছে।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ছুঁড়লে বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একইভাবে হরতালের সমর্থনে রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জে পিকেটিংয়ের সময় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গুরুতর অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।