কালবৈশাখী ঝড়ে ১১ জনের মৃত্যু

এইমাত্র জাতীয় সারাদেশ

আজকের দেশ ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোববার বিকেল থেকে রাত ৯ পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন

এরমধ্যে গাইবান্ধায় ৮ জন, ফরিদপুরে ২ জন, কুষ্টিয়ায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য মতে, গাইবান্ধায় প্রবল ঝড়ে গাছ ও ঘরচাপায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সদরের মালিবাড়ি ও বাদিয়াখালি ইউনিয়নে ২ জন, ফুলছড়িতে ২ জন, পলাশবাড়ীতে ৩ জন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একজন।

নিহতরা হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের ঢনঢনিপাড়া গ্রামের মিঠু মিয়ার স্ত্রী সাহারা বেগম (৪১), পলাশবাড়ী উপজেলার ডাকেরপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), মোস্তফাপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে গোফ্ফার (৪২), মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের মমতা বেগম (৫৫), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত হলদিয়া গ্রামের সোলেমান আলীর স্ত্রী ময়না বেগম (৪০), ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামের বিটুল মিয়ার স্ত্রী শিমুলী বেগম (২৫), ফুলছড়ি উপজেলার হাফেজ উদ্দীন। এছাড়া বাকী দুই জনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ফরিদপুর : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের ডাল পড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার বানা ইউনিয়নের টাবনী ঘোষবাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মধুখালী উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মো. জাহিদের স্ত্রী হালিমা (২৫) তার এক বছর চার মাস বয়সী শিশুকন্যা আফছানা।

জানা গেছে, হালিমা তার শিশুকন্যা আফছানাকে নিয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় ভ্যানযোগে তার বাবার বাড়ি বুড়াইচ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া রওনা দেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বানা ইউনিয়নের টাবনী ঘোষবাড়ির সামনে পৌঁছালে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ সময় সজনে গাছের একটি বড় ডাল তাদের ওপর ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই হালিমা মারা যান। মারাত্মক আহত শিশু আফছানাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় কালবৈশাখী ঝড়ে রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার মহিষাডোরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রবিউল পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলার শশীধরপুর গ্রামের সাদ মন্ডলের ছেলে।

দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমোদ মামুন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, রবিউল ইসলাম ভ্যানে করে পেঁয়াজ নিয়ে তার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মহিষাডোরা এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়েন তিনি। এসময় রাস্তার পাশের একটি দোকানের ঢেউটিন উড়ে এসে তার গলায় লাগে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।