শপিংমলে ব্যাপক ক্রেতাসমাগম : উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

এইমাত্র জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : সর্বাত্মক লকডাউনের বাকি হাতে আর মাত্র দুই দিন। আর সেই সুযোগেই যেন শুরু হয়ে গেছে উৎসবের প্রস্তুতি। পহেলা বৈশাখ আর ঈদ সামনে রেখে উপচেপড়া ভিড় রাজধানীর শপিংমল-মার্কেটে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকিও।
রোববার এ যেন ঈদের আগের দিন। বলা চলে চাঁদরাত। চলছে উৎসব উদযাপনের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা।
রাজধানীর অধিকাংশ শপিংমল ও বিক্রয় কেন্দ্রের অবস্থা এমনই। সর্বত্র উপচেপড়া ভিড়। সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন আসার আগেই অনেকে সেরে নিচ্ছেন পহেলা বৈশাখ ও ঈদের আগাম কেনাকাটা। যেন কেনাকাটার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন রাজধানীবাসী।
চার দেয়ালে বদ্ধ মার্কেটে উপচেপড়া মানুষ আর প্রচ- গরমে নাজেহাল অবস্থা। বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। অথচ অতি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে চরম উদাসীন অনেকেই।
এদিকে, শপিংমল ও মার্কেট খোলার তৃতীয় দিনে ক্রেতাসমাগম বেশি হওয়ায় বেড়েছে বিক্রি। তবে ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হলে অস্তিত্ব সংকটে পড়ার শঙ্কায় বিক্রয়কর্মীরা।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধ একইভাবে চলবে আরও দুই দিন।
১২ ও ১৩ এপ্রিল তাহলে কী হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক ওপরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট করে বলেন, প্রথম ধাপের চলমান লকডাউনের ধারাবাহিকতা চলবে ১২ ও ১৩ এপ্রিল। রোববার গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে দেশে চলছে সাত দিনের শিথিল ‘লকডাউন’, যা রোববার শেষ হচ্ছে। এ লকডাউনের শুরুতে ১১ দফা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দূরপাল্লার বাস আর পর্যটনকেন্দ্র ছাড়া এখন সবই খোলা ছিল। এর মধ্যে শুক্রবার ঘোষণা দেওয়া হয়, ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’।


বিজ্ঞাপন