নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারিভাবে প্রতিটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ফি তিন হাজার টাকার পরিবর্তে এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা করার সুপারিশ করেছে কারিগরি পরামর্শক কমিটি। বুধবার রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে এ সুপারিশ করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে সরকারি হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা, বাসায় গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করতে হলে ৩০০ টাকা দিতে হয়। বেসরকারিভাবে নমুনা পরীক্ষা করতে ফি তিন হাজার টাকা দিতে হয়। এসব বিষয় চিন্তা করেই ফি কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিটের দাম আগে ২ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা ছিল। এখন তা কমে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বেসরকারি পর্যায়ে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে মূল্য পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এর আগে, গত জানুয়ারিতে সরকারিভাবে পরীক্ষার ফি বিনামূল্যে করার সুপারিশ করেছিল কমিটি।
দেশের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার বিধিনিষেধ অব্যাহত রেখেছে। এই বিষয়ে কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিধি নিষেধ পালনের ক্ষেত্রে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার কাজ আগের মতো চালিয়ে যেতে হবে বলে মতামত দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে সরকারের কাছে লকডাউন পরবর্তী এক্সিট প্ল্যান এর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যা বাস্তবায়ন খুবই জরুরি বলে জানানো হয়েছে।
ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ চিহ্নিত হয়েছে। সেটা বাংলাদেশে ছড়ালে পরিস্থিতি সংকটময় হতে পারে। তাই ভারত থেকে আসা সব যাত্রীর ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে বলেছে জাতীয় কারিগরি কমিটি।
এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি জোরদার করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো শৈথিল্য কাম্য নয়। ভারত থেকে আগত ১০ জন সংক্রমিত ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। উক্ত চলাচলের সময় এরা যাদের সংস্পর্শে এসেছে তাদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টিন করতে হবে।