নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ১,৫০,০০,০০০/- (এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট একটি সুত্রের।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় গত বুধবার , ৯ জুন, রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ জালিয়ারদ্বীপ এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে দমদমিয়া বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল বর্ণিত এলাকায় আগে থেকেই কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে জালিয়ারদ্বীপের উত্তর-পূর্ব দিকে বড়ভাঙ্গা নামক স্থানে নাফ নদীর কিনারায় কেওড়া বাগানের আঁড় নিয়ে গোপনে অবস্থান গ্রহণ করে।
আনুমানিক ১০ টা ৪৫ মিনিটে বিশেষ টহলদল নাইট ভিশন ডিভাইস দ্বারা বিআরএম-৮ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে ২/৩ জন দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিকে সাঁতরিয়ে মিয়ানমার হতে নাফ নদী পার হয়ে জালিয়ারদ্বীপের উত্তর-পূর্ব দিকে ১ টি প্লাষ্টিকের বস্তা নিয়ে আসতে দেখে। উক্ত ব্যক্তিদের দেখা মাত্রই টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়।
দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিগণ দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত বস্তাটি ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ডুব সাঁতার দিয়ে শূন্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ১ টি প্লাষ্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তার ভিতর হতে ১,৫০,০০,০০০/-(এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। ইয়াবা পাচারকারী/তাদের সহযোগীকে আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী তে ১০ জুন, বিকাল ৫ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।