নিজাম উদ্দিন : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে একাদিক কিশোর গ্যাং গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে র্যাবের উর্ধতন কর্মকর্তারা আজকের দেশ নিউজকে বলেন, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্ম প্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। খুন ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণ, অপহরণ চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেফতার এবং জঙ্গীবাদের মত ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূল ও রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি মাদক দ্রব্য উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার সহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুন সমাজকে রক্ষা করার জন্য র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। বর্তমানে দেশব্যাপী বহুল আলোচিত বিপথগামী বিভিন্ন কিশোর গ্যাং গ্রুপ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, ছিনতাই, ইভটিজিং মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এ ধরনের বিপথগামী কিশোর অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-২ এর আভিযানিক দল গত ২০ জুন ২০২১ ইং তারিখ রাজধানীর হাজারীবাগ ও দারুস সালাম থানা এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে নানা অপরাধে জড়িত কিশোর গ্যাং এর “ডন সাগর” ও “মুন্না গ্রুপ এর ১৬ সদস্য গ্রেফতার।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, মোঃ সাগর(১৩) পিতা-শাহ আলম, মোঃ সরফরাজ আহমেদ রিমন(১৭), পিতা-মুক্তার হোসেন, মোঃ রায়হান(১৭) পিতা-মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ পলাশ হোসেন(৩২) পিতা- মৃত আলী হোসেন,মোঃ মুন্না(১৫), পিতা-মোঃ মানিক, মোঃ রাসেল(১৬) পিতা-মোঃ সোলেমান, মোঃ উজ্জল হোসেন(১৪) পিতা-মৃত রিয়াজ হোসেন, শাকিল হাওলাদার(১৮) পিতা-লোকমান হাওলাদার, মোঃ মুরাদ হোসেন(২০), পিতা-মোঃ বাবুল হোসেন, মোঃ মামুন খান (১৮) পিতা- মোঃ ফরহাদ খান, রিফাদ হোসেন (১৮) পিতা- আবুল হাসেম, মোঃ রায়হান (১৮)মপিতা- মোঃ বারেক, হাসান শেখ(১৯) পিতা- শাহিন শেখ, মোঃ হাসনাইন(১৯), পিতা- মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক,মোঃ নাসির উদ্দিন আলবানী(১৯) পিতা- মোঃ আবু সাঈদ, জয় চন্দ্র ঘোষ(১৯), পিতা- প্রেম নাথ ঘোষ,
এদের কাজ থেকে ১১টি ছুরি ০১ টি চাপাতি, ০৩টি হোল্ডিং চাকু ০১ টি ক্ষুরসহ গ্রেফতার করে র্যাব -২
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেফতারকৃত এই কিশোর অপরাধীরা স্থানীয়ভাবে পরিচিত কিশোর গ্যাং ‘ডন সাগর গ্রুপ’ ও ‘মুন্না গ্রুপ’ এর সদস্য। গ্রেফতারকৃত কিশোর অপরাধীরা সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক সেবন, ইভটিজিং, চাঁদাবাজিসহ টিকটক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা দীর্ঘদিন রাস্তাঘাটে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজিসহ এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিলো। এছাড়া নিজেদের গ্রুপের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য অন্যান্য কিশোর গ্যাং এর সাথে মারামারিসহ নানা সশস্ত্র সংঘর্ষেও তারা জড়াতো।
র্যাব-২ গত এক মাসে তালিকাভুক্ত ১১ টি কিশোর গ্যাং গ্রুপের মোট ৬২ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রদত্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে আসামীদের তালিকা তৈরী করে এসব কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং র্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।বলে আজকের দেশ নিউজ কে জানান র্যাব -২ এর এএসপি ফজলু।