নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে অফিস খুলে মধ্যপ্রাচ্যসহ এশিয়ার দেশগুলোতে মানবপাচার করে আসছিলেন চিত্রনায়িকা পরিমনির দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমি। এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের সময় অমির ব্যবহৃত চারটি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পরীমনির মামলায় তাকে গ্রেফতার না দেখালেও মাদক মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
অমির বিরুদ্ধে শনিবার একটি মানব পাচারের মামলা হয়। ওই মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্ত করা হয়। পরে সিআইডি অভিযান চালিয়ে মানবপাচারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন, জসিম উদ্দিন (৩৬), সালাউদ্দিন (৩৫), মুসা (২৬), রাকিবুল ইসলাম রানা (৩৩), গোলাপ হোসেন বুলবুল (৩৪), জাকির হোসেন (৩৪), নাজমুল (২৫), আলম (৩৫) ও শাহজাহান সরকার (৪৩)।
প্রভাবশালী হওয়ায় এতদিন তার বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি এলাকার মানুষ।
তবে গ্রেফতারের পর থেকে একে একে বের হয়ে আসছে অমির অপরাধ জগতের নানা তথ্য। অমির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। সেই চক্রের মাধ্যমেই তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক এসব তথ্য জানান।
জানা গেছে, দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে ভালো চাকরির কথা বলে অমি ও তার সহযোগীরা শত শত মানুষকে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন।
মানবপাচার করে তারা আত্মসাৎ করেছেন কোটি কোটি টাকা। এই টাকা দিয়েই বিলাসী জীবন যাপন করে আসছিলেন অমি ও তার সহযোগীরা।
অমির সহযোগীদের গ্রেফতারের সময় অমির ব্যবহার করা চারটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২২টি হার্ডডিস্ক, জমির দলিল, ৩৯৫ টি পাসপোর্টসহ বেশকিছু মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অমি ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দেশে মানব পাচার করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছিল। তারা স্বল্প সময়রে মধ্যে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আরও তথ্য জানতে সিআইডির তদন্ত চলমান রয়েছে। আসামিদের অধিক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ড মঞ্জুরের জন্য আদলতে নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।