মো. নাসির উদ্দিন শিকদার : বাবার আঙ্গুল ধরে ছোটবেলা অনেক হেঁটেছি , সেই সব কথা এখন খুব একটা মনে পড়ে না।
এখন দু পায়ে ভর করে নিজেই হাঁটতে পারি। বাব…. বাব.. বাব্বা .. করে বাবা বলে ডাকতে অনেক সময় লেগেছিল।
সন্তান জন্মের পর মা বাবা সেই সন্তানকে অনেক কষ্টে লালন পালন করেন। ভাল কিছু না নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ান।
সন্তানদের সুখের জন্য নিজের জীবনকে তুচ্ছ মনে করেন। বাবা মার স্বপ্ন থাকে সন্তান একদিন অনেক বড় হবে , মানুষের মত মানুষ হবে।
বাবা মা সন্তানকে শুধু দিয়ে যান বিনিময়ে তারা কিছুই চান না। শত দুঃখে মাঝেও সন্তানকে ভুলে যান না।
যে সন্তান একসময় বাবা আঙ্গুল না ধরে হাঁটতে পারত না , নিজের হাতে খেতে পারত না সেই সন্তান একসময় বড় হয়। আর সেই মা বাবাকে ভুলে যায় , যে মা বাবার কারনে সে এই পৃথিবীতে এসেছে।
এক সময় বাবা মায়ের সেই আদরের ছেলে বাবা মাকে ত্যাগ করে নিজের সুখের নীড় বানায়।
বিদেশি ম্বল গায়ে জড়িয়ে ঘুমায় আর মা-বাবা যে অসহায়ের মত জীবন কাটায় সে খবর রাখে না। বউ বাচ্চাদের নিয়ে সুখের জীবন কাটায়।
একসময় তার সন্তান্ও তাকে ছেড়ে চলে যায় ,তখন সে বুঝতে পারে সন্তান চলে গেলে মা-বাবার যে কি কষ্ট !! তখন তার অনুশোচনা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।
দাঁত থাকতে যদি আমরা দাঁতের মর্যাদা ‘ না বুঝি তাহলে দাঁত পরে যাবার পর কেঁদে লাভ নেই।
সবার প্রতি একটা অনুরোধ ,যে মা-বাবার জন্য আমরা পৃথিবীর আলো দেখেছি সেই মা-বাবাকে যেন কেউ কষ্ট না দেয়।
একটাই প্রত্যাশা করি ‘পৃথিবীর সব সন্তানরাই সুখে থাকুক মা-বাবাকে নিয়ে।শেষ বয়েসে কোনো মা-বাবাকে যেন।