নিজস্ব প্রতিনিধি : র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন কুন্ডলবাগ এলাকায় কিছু সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল আশুলিয়া থানাধীন পাবনার টেক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ০৫ টি হাশুয়া, ০১ টি দা, ০১ টি করাত, ০১ টি চাইনিজ কুড়াল, ২৬৬ পিস ইয়াবা, ০১ ক্যান বিয়ার, ১১ টি মোবাইল এবং নগদ ১৯,৭২৫/-টাকাসহ নিম্নোক্ত ০৯ জন সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার কৃত রা যথাক্রমে, রিপন মিয়া (৩০), জেলা-ঢাকা।
মোঃ সানোয়ার হোসেন (৩৮), জেলা-ঢাকা। মোঃ সানোয়ার হোসেন পাঁঠান (৩৫), জেলা-ঢাকা। মোঃ লিটন রেজা ওরফে রাজা (৩৪), জেলা-ঢাকা। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩২), জেলা-ঢাকা। মোঃ আহাদ আলী (৩৮), জেলা-ঢাকা। মোঃ আশরাফ আলী (৪০), জেলা-ঢাকা। মোঃ আল আমিন (২৫), জেলা-বরিশাল। এবং
মোঃ রোকনুজ্জামান (৩৪), জেলা- জামালপুর।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা সংঘবদ্ধ দুর্ধর্ষ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য। আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ ৮-১০ জন দলবদ্ধ হয়ে ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া, ধামরাইয়ের বিভিন্নস্থানে রাতের অন্ধকারে যানবাহনে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার প্রভৃতি ডাকাতি করে আসছিলো এবং ক্ষেত্রবিশেষে ভূক্তভোগীদেরকে তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত ও জখম করতো। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, আসামীরা অবৈধ মাদক ব্যবস্যার সাথেও জড়িত।
উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।